সাংসারিক অশান্তি থেকে মুক্তি, রেশন কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
পরিবারের প্রধান কে? এই প্রশ্ন করলে অনেক পরিবারের মধ্যেই দেখা দিতে পারে অশান্তির আঁচ। কোনো একজন সদস্যকে পরিবারের মাথা হিসেবে মেনে নিতে না পারা নিয়ে মনোমালিন্য, আর তাই থেকে পরবর্তীতে ঝগড়া, অশান্তি। এই অশান্তির আঁচ এসে পৌঁছায় রেশন কার্ড (Ration Card) পর্যন্ত। কীভাবে? রেশন কার্ডের আবেদনে পরিবারের প্রধানের নাম লেখা বাধ্যতামূলক। এদিকে প্রধান পদে কে বসবেন তাই নিয়ে কথা কাটাকাটি। শেষে অশান্তি ওঠে চরমে। তবে এবারে সেই ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় মিলতে পারে বলে খবর।
এমন অশান্তির কথা কিন্তু আমাদের মনগড়া নয়। স্বয়ং রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হয়েছেন সম্প্রতি। জানা যাচ্ছে, সদ্য দুয়ারে সরকারের এক শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানে গিয়েই এমন ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। জানতে পারেন, রেশন কার্ডে পরিবারের প্রধান এর নাম লেখা নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে অসন্তোষ। এই বাধ্যবাধকতা উঠে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন অনেকে। তাই রেশন কার্ডের আবেদনে পরিবারের প্রধান এর নাম লেখার বিষয়টা তুলে দেওয়ার জন্য আবেদনও পড়েছে বেশ কিছু।
কিন্তু এমন বিবাদের কারণ কী? সমীক্ষা বলছে, অনেক পরিবারেই প্রধান সদস্য কে তা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। কোনো একজন সদস্যকে প্রধান হিসেবে মানতে পারেন না বাকিরা। বিশেষ করে কোনো মহিলা সদস্যকে প্রধান হিসেবে মানতে ঘোর আপত্তি রয়েছে কিছু পরিবারে। এমনকি এ নিয়ে শাশুড়ি বৌমার ঝগড়াও অনেক জায়গায় লেগেছে বলে শোনা যায়। কিন্তু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা নিয়মের কথা ধরলে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া রয়েছে যে পরিবারের কোনো মহিলা সদস্যকেই প্রধান হিসেবে মানতে হবে।
জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরে বিষয়টি নিয়ে অবগত হওয়ার পরেই দফতরের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্তে আসা গিয়েছে যে এবার থেকে রেশন কার্ডে পরিবারের প্রধান এর নাম উল্লেখ না করলেও চলবে। বাংলায় পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত রেশন কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। বলা হয়েছে, যার নামে কার্ড তার বাবা কিংবা স্বামীর নাম লেখা থাকতে পারে। তবে তিনি যদি না চান তবে পরিবার প্রধানের নাম কার্ডে লেখা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না।