বাসর রাতে বিড়াল মারার আসল মানে জানেন? না জানলে আফসোস করতে হবে
বিয়ে হল জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই একটা সামাজিক অনুষ্ঠান বদলে দেয় দুটো মানুষের জীবন। পরিবর্তিত হয় চারপাশ, নিত্যনতুন সকব অভিজ্ঞতা ভিড় জমায় আশেপাশে। তাই এদেশে বিয়ে নিয়ে একটা আগ্রহ বা কৌতুহল সকলেরই থাকে কমবেশি। তবে বিয়ের নানান রীতিনীতির মধ্যে যে বিষয়টা নিয়ে পুরুষ এবং নারী সকলের কৌতুহল থাকে, তা হল ফুলশয্যা। অনেকের কাছেই এই রাতটা ‘স্পেশ্যাল’ হয় কারণ অনেক ছেলে বা মেয়ে এই রাতেই বিপরীত লিঙ্গের কোনো মানুষের সঙ্গে এতটা ঘনিষ্ঠ হয়।
এই ফুলশয্যার রাতের আগেই আসে বাসর রাত। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, বিয়ের রাতকে বাসররাত বলা হয়। ফুলশয্যা হয় তার পরের রাত। ইসলাম ধর্মেও রয়েছে একই প্রথা। তবে এই বাসর রাতে অনেক মজার বিষয় হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত বিষয় হল ‘বিড়াল মারা’। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। কিভাবে এই কথার উৎপত্তি হল? এই প্রশ্ন ওঠে বারবার। তবে এই বিষয়ে জেনে রাখা ভালো যে এই ‘বিড়াল মারা’ নিয়ে একটি গল্প লোকমুখে বেশ ঘুরে বেড়ায়। দেখে মিন সেই গল্পটি।
একসময় বাগদাদের এক বাদশাহ ছিলেন। যার দুই কন্যা ছিল। ছোট থেকেই কন্যাদের ভীষণ ভালোবাসেন বাদশাহ। আর সেই কারণে মেয়েদের সঙ্গে সারাক্ষন থাকার জন্য দুজনকে দুটি বিড়াল এনে দেন তিনি। দুই রাজকন্যা তাদের দুই পোষ্যকে ভীষণ ভালোবাসতে থাকে। তাদের সারাক্ষন কেটে যায় সেই দুটি বিড়ালকে নিয়ে। এবার সেই দুই রাজকন্যা বিবাহযোগ্যা হওয়ায় বাদশাহ পার্শ্ববর্তী এক রাজ্যের দুই রাজপুত্রের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেন। এদিকে পোষ্যদের নিয়েই শ্বশুরবাড়ি যায় দুই রাজকন্যা। কিন্তু দুজন রাজ্যের ভিন্ন জায়গায় থাকেন।
অনেকদিন পর দুই রাজপুত্রের দেখা হয়। তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করেন বিবাহিত জীবন প্রসঙ্গে। তখন বড় ভাই জানায় তার স্ত্রী নাকি তাকে ভীষণ সমীহ করে চলে। একথা শুনে তার কারণ জানতে চাইলে বড় ভাই জানায় যে বাসর রাতে সে নাকি স্ত্রীয়ের পোষ্য বিড়ালকে মেরে ফেলে। আর এই কারণেই তার স্ত্রী তাকে অনেক রাগী ভেবে সমীহ করে। একথা শুনে ছোট ভাই একই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাসখানেক পর তাদের আবার সাক্ষাৎ হলে দেখা যায় ছোট ভাইয়ের গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায় যে সেটার স্ত্রীয়ের বিড়ালকে মেরেই তার এমন অবস্থা হয়েছে। তখন বড় ভাই জানায় যে বিড়াল বাসর রাতেই মারতে হয়, নাহলে এমনই হয়। যদিও এই গল্পের কোনো লিখিত প্রমান মেলেনা।