জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ কবেই অফ এয়ার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ‘রান্নাঘরের রানী’ হিসাবে রয়ে গিয়েছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)-র জনপ্রিয়তা। তবে কেরিয়ারের গোড়ায় তিনি ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালক ছিলেন না। সংবাদ পাঠিকা রূপে বিনোদন জগতে সুদীপার যাত্রা শুরু। ‘দাদাগিরি’-তে এসে সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)-র সামনে সুদীপা ফাঁস করেছিলেন তাঁর নিউজ রিডার বা সংবাদ পাঠিকা হওয়ার সিক্রেট।
সেই সময় জি বাংলার নাম ছিল ‘আলফা বাংলা’। সুদীপা সব মিলিয়ে পঁচিশ বার সংবাদ পাঠিকা হওয়ার জন্য অডিশন দিয়েও পাশ করতে পারেননি। পঁচিশ বারের মাথায় অডিশন দিয়ে ফেল করে খুব খারাপ লাগছিল সুদীপার। ঠিক করেছিলেন, আর কোনোভাবেই অডিশন দিতে আসবেন না। কিন্তু চ্যানেলের বিজনেস হেড তাঁকে বলেন, পরদিন ভোর সাড়ে তিনটে-র সময় সুদীপার বাড়িতে গাড়ি চলে যাবে। ভোরের নিউজ পড়বেন তিনি। কারণ ওই সময় কেউ খবর শোনে না। গাড়ি কখনও পৌনে তিনটে-র সময়ও সুদীপার বাড়িতে চলে আসত। ঘুমকাতুরে সুদীপা কখনও ভোরে ওঠেননি। ফলে তিনি পায়ে জুতো পরে খাটে শুতে যেতেন। গাড়ি এলে তাতে উঠে ঘুমাতে ঘুমাতে গিয়ে পৌঁছাতেন স্টুডিওয়। তবে সুদীপাও অবশ্য সৌরভকে ছেড়ে দেননি। তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন সৌরভ-জায়া ডোনা গাঙ্গুলী (Dona Ganguly)-র পছন্দ-অপছন্দ।
সৌরভ প্রায় সবকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেও বলতে পারেননি ডোনার ফেভারিট খাবার কি! ভার্চুয়াল স্ক্রিনে উপস্থিত ছিলেন ডোনা। তিনি হেসে ফেলে বলেন, এটা সৌরভের জানা উচিত ছিল। তবে সুদীপার সিক্রেট জেনে অবশ্য সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন সংবাদ পাঠিকা হিসাবে কাজ করার পর এসেছিল ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালনার সুযোগ। সুদীপা ‘রান্নাঘর’-কে বানিয়েছিলেন ঘরোয়া। অংশগ্রহণকারীদের সাথে গল্প করতে করতেই হয়ে যেত রান্না। কিন্তু দীর্ঘদিন চলার পর সাম্প্রতিক কালে অফ এয়ার হয়েছে এই শো।
বর্তমানে সুদীপা ব্যস্ত তাঁর রেস্টুরেন্ট ও শাড়ির ব্যবসা নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই নিজের শাড়ির সম্ভার নিয়ে লাইভ করেন তিনি।