সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)-র নিবাস ‘চ্যাটার্জী হাউস’-এ ইদানিং প্রায়ই নতুন অতিথির আগমন হচ্ছে। ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালক সুদীপা অতিথি সামলাতে সিদ্ধহস্ত হলেও তাঁর বাড়ির অতিথি নাছোড়বান্দা প্রকৃতির। তাঁরা আবার বাড়ির মালিকদের মানতে চান না। বাড়ির মালিকরা অবশ্য দাঁত-মুখ খিঁচানো গোছের। ফলে কোনো অতিথির পক্ষে তাঁদের মানা অসম্ভব। সুদীপা ভাবছেন, এবার বাড়িতে খুব শীঘ্রই রাম-রাবণের যুদ্ধ লাগতে চলেছে।
সুদীপা সম্প্রতি সেই বিশেষ অতিথিদের কথা লেখার পাশাপাশি শেয়ার করেছেন তাঁদের ছবিও। শীতের রোদে ‘চ্যাটার্জী হাউস’-এ সময় কাটাতে আসছে একটি হনুমান পরিবার। তারা মা-বাবা ও ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে মোট পাঁচ জন সদস্য। সুদীপার ছাদের বাগানে প্রায় রোজই তারা দাপাদাপি করছে। পাশাপাশি চাইছে খাবার। সুদীপা পশুপ্রেমী। তবে তাঁর সাধের ছাদ বাগান নিয়েও চিন্তা হচ্ছে সুদীপার। বাড়ির মালিক ভান্টু, বাঁটুল, গলুর পছন্দ নয় পাঁচ হনুমানকে। কারণ তারা ভান্টুকে দাঁত খিঁচিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই ভান্টু বাহিনী তাদের সাথে ঝগড়া করতে আগ্রহী। সারমেয় ভাষায় তারা দিয়েছে তাদের মুখ ভেংচানোর জবাব।
তবে এই পাঁচ হনুমান যথেষ্ট ইন্টালিজেন্ট। কারণ তারা সুদীপার বাড়ির ফ্রিজ খুঁজে পেয়েছে। বর্তমানে ছাদ বাগানে খেলাধূলার পর বীর বিক্রমে তারা ফ্রিজের কাছে এসে হইহই করে “আমাদের দাবি মানতে হবে”। হনুমানরা জানে, ফ্রিজে খাবার থাকে। সুদীপা ও আদিদেব (Adidev) তাদের খাবার দেন। কিন্তু ভান্টুর যা মেজাজ তাতে যে কোনোদিন সে চড় খেতে পারে হনুমানের হাতে। আপাতত সুদীপা এই ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু ভান্টু নাছোড়বান্দা। তার বাড়ি ‘চ্যাটার্জী হাউস’। ফলে ফ্রিজ তার। ফ্রিজে রাখা খাবারও অতএব তার। ফলে অনধিকার প্রবেশ সে পছন্দ করছে না।
আপাতত সুদীপা মাঝখানে। একদিকে সারমেয় বাহিনী, অপরদিকে হনুমান বাহিনী। ঘটনাবলী শুনে যা মনে হচ্ছে, তাতে কুরুক্ষেত্র খুব শীঘ্রই শুরু হল বলে।