কিভাবে চিনি ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসবে!
রান্নাঘরে চিনি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান তবে এখন নানান রকম রোগ বালাইয়ের জন্য রান্নাতে অনেকেই চিনি প্রয়োগ অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি যে শুধু রান্নার কাজে লাগে তা একদমই নয় চিনি রূপচর্চায় অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। জেনে নিন চিনির অচেনা গুণ। মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্যও এক চামচ চিনি যথেষ্ট।
ঠোঁটের জন্য চিনি: কয়েক ফোঁটা নারকেল তেলের মধ্যে এক চামচ চিনি নিয়ে যদি নিয়মিত কোমল ঠোটের মধ্যে লাগানো যায় তাহলে ঠোঁট আরো বেশি নরম হয় এবং ঠোঁটের ওপরে হওয়া কালো দাগ নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যায়।
পায়ের যত্নে চিনি: পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভুগতে থাকেন। তাই এই সময় যদি এক চামচ চিনির সঙ্গে নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পায়ের তলায় ঘষে ঘষে লাগান। তাহলে গোড়ালির মরা চামড়া সহজে উঠে যাবে। পায়ের গোড়ালি অনেক বেশি নরম তুলতুলে হবে।
ত্বকের স্ক্রাবার হিসেবে চিনি: বেসন, কাঁচা দুধ, কফি এবং চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে যদি ত্বকের উপরে লাগানো যায়, তাহলে ত্বকের ওপরে হওয়া মরা কোষ একেবারে দূর হয়ে যায়।
কনুই, ঘাড়, গলা পরিষ্কার করতে চিনি: পাতিলেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে যদি এই সমস্ত জায়গায় লাগানো যায় তাহলে সহজেই কালো দাগ পরিষ্কার হয়ে গিয়ে এই জায়গাগুলি নরম তুলতুলে হয়ে যায়।
তাই রান্নাঘরে চিনির ব্যবহার এবার কমিয়ে দিন। প্রতিদিন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন চিনি। পরপর সাতদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন চিনি আপনার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী একটি উপাদান। তবে ত্বকের জন্য যতটাই উপকারী, শরীরের ভেতরের জন্য ততটাই খারাপ। যারা ডায়াবেটিক পেশেন্ট আছেন তারা চিনি কম খাবেন, অন্যরা বেশি খাবেন তা করলে কিন্তু হবে না। শরীরের মধ্যে যদি বেশি পরিমাণে চিনি যায় তাহলে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অল্প বয়সে বার্ধক্য চলে আসবে। তাই খানাপিনায় রাশ টানতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস থেকে চিনিকে বাদ দিতে হবে।