Hoop PlusTollywood

লকডাউনের বিধিনিষেধে শিল্পীরা আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন: রূপঙ্কর

করোনা অতিমারী ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সমগ্র ভারতবর্ষে। আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক অনুষ্ঠানকে নিয়ে আসা হয়েছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মঞ্চ ও মাচা অনুষ্ঠানের উপর। এর ফলে বিনোদন জগতে নেমে এসেছে আতঙ্ক। রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi), মনোময় ভট্টাচার্য (Manomoy Bhattacharya) সহ একাধিক প্রথম সারির শিল্পীরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের গ্রাসাচ্ছাদন কিভাবে হবে! অনেকের মত, পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেওয়া উচিত প্রশাসনের তরফে।

এহেন অনিশ্চয়তা নিয়ে কার্যতঃ হতাশ মনোময়ের প্রশ্ন, এভাবে কতদিন মঞ্চশিল্পী ও বাদ্যযন্ত্রীদের জীবন নিয়ে খেলা করবে করোনা অতিমারী! মনোময়ের মতে, নিয়ম কড়া হলে করোনা বশে থাকছে। কিন্তু নিয়ম একটু শিথিল হলেই মানুষ বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছেন। বড়দিন, নববর্ষ ও অন্যান্য ছুটির দিনে পার্ক স্ট্রিট ও চিড়িয়াখানায় নামছে মানুষের ঢল। ফলে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। তবে মনোময় মনে করেন, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নয়, রাজনীতিবিদরাও এই বিষয়ে সমান দোষী। তাঁর মতে, সভা-সমাবেশ, জমায়েত, মিছিলে একটু রাশ টানলে ছবিটা হয়তো এক শতাংশ হলেও বদলাত। কিন্তু তা না করে বারবার কোপ পড়ছে বিনোদন দুনিয়ায়। ইতিমধ্যেই মনোময়ের একাধিক শো বাতিল হয়েছে। সঞ্চিত অর্থ ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাবে। ফলে শঙ্কিত মনোময়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by @saragamapa2020

বিরক্ত রূপঙ্কর জানালেন, পরপর কয়েকটি শো বাতিল হয়েছে তাঁর। তাঁর মতে, করোনা অতিমারীর জন্য দায়ী দেশের সমাজ ও শাসনব্যবস্থা। ফলে সবাই কিছু দেখেও দেখছেন না, বুঝেও বুঝছেন না। রোগের প্রকোপ কমতেই মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে ফেলছেন মানুষ। এইভাবে চলতে থাকলে গান-বাজনা ছেড়ে শিল্পীরা অন্য পেশায় চলে যাবেন। যাঁরা নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন, তাঁরা টিকে যাবেন। যাঁরা পারবেন না, তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নেবেন। অনুপম রায় (Anupam Ray) দোষ দিচ্ছেন নিজের কপালকে। ডিসেম্বরে করোনার প্রকোপ কম থাকায় শো করেছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁরও শো বাতিল হয়েছে। তবে অনুপম শুনেছেন, মার্চ মাস নাগাদ পরিস্থিতি হয়তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে প্রেক্ষাগৃহের মতো পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে শো করার পক্ষপাতী নন অনুপম। তিনি জানিয়েছেন, কুড়ি-তিরিশ হাজার দর্শকের সামনে তাঁরা গান করেন। সভাগৃহে পঞ্চাশ শতাংশ মানে হাজার খানেক দর্শক। এতে শিল্পীদের কোনো লাভ হবে না।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Anupam Roy (@aroyfloyd)

নববর্ষের শুরুতেই সারা বাংলা জুড়ে ‘ফসিলস’-এর পাঁচটি শো বাতিল হয়েছে। রূপম ইসলাম (Rupam Islam) করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এমনিতেও সব জায়গায় বুকিং নেননি। মাত্র পাঁচটি শো ছিল, তাও বাতিল। কালনা বা কল্যাণীতে তাঁদের শ্রোতার সংখ্যা কমপক্ষে কুড়ি হাজার হতো। কলকাতার প্রথম সারির একটি বিনোদন পার্কেও ছিল অনুষ্ঠান। কিন্তু এগুলি হলে জনসাধারণ ভুগতেন। আপাতত রূপম মনে করছেন, অপেক্ষা করাই শ্রেয়। তিনি জনসচেতনতার পাশাপাশি কড়া হাতে রাজ্য সরকারকে জনজোয়ার নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনিও মনে করেন, উৎসবের সময় মানুষ বেলাগাম হওয়ার কারণে লকডাউনের চেনা ছবি ফিরে এল। এভাবে কি শিল্পীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে, প্রশ্ন রূপমেরও।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rupam Islam (@rupamislam)

whatsapp logo