বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই টলিউডে এসেছিল গেরুয়া জোয়ার। একঝাঁক তারকা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এদের মধ্যে ছিলেন টলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় (Suman Banerjee)। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক আহ্বায়কের পদ। কিন্তু হঠাৎই আজ দুপুরে সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুমন।
কিছুদিন আগেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)-র ইস্তফা নাড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপির ভিত। এর মধ্যেই সুমনের ইস্তফা আবারও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে এনে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দলীয় নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা যায়নি কেন? সুমন জানিয়েছেন, হয়তো দলীয় প্রচারে তাঁকে ডাকার প্রয়োজন মনে করেননি দলীয় নেতৃত্ব। তবে দলের কর্মী হিসাবে থাকবেন সুমন। তবে এখানেও তিনি তুলে দিয়েছেন সময়ের প্রশ্ন। তিনি বলেছেন, তাঁর সময়ের অভাব রয়েছে।
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একের পর এক কর্মী বিজেপি থেকে বেরিয়ে চলে আসছেন। প্রত্যেকেই অভিযোগ করছেন, তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপিতে থাকাকালীন সুমনকেও কোনো সাংস্কৃতিক মঞ্চের আয়োজক হিসাবে দেখা যায়নি। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁদের কাজে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাঁরা আক্রান্ত। কিন্তু তাহলে বারবার বঙ্গ বিজেপিতে সহানুভূতির পরিবর্তে দলের অন্দরে ভাঙন ধরছে কেন?
সাংস্কৃতিক আহ্বায়কের পদ থেকে সুমনের ইস্তফা তুলে দিয়েছে অনেকগুলি প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলগুলিতে তারকারা শুধুমাত্র ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণে ব্যবহৃত হন নাকি সত্যিই তাঁদের রাজনৈতিক মতামতের গুরুত্ব রয়েছে! বিজেপির তরফেই বিধানসভা ভোটে শোচনীয় হারের পর বিনোদন জগতের প্রার্থীদের দায়ী করা হয়েছিল ব্যর্থতার জন্য। এমনকি তথাগত রায় (Tathagata Ray) মহিলা তারকা প্রার্থীদের প্রতি ‘নগর নটী’ শব্দটি অশ্লীল অর্থে ব্যবহার করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন পায়েল সরকার (Payel Sarkar)। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর পায়েল, যশ (Yash Dasgupta), শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee), তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanushree Chakraborty) সহ একঝাঁক তারকাকে আর রাজনীতির আঙিনাতে দেখা যায়নি।