উত্তরবঙ্গে বর্ষা চলে এলেও, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনো আসেনি। তবে বিক্ষিপ্ত জায়গায় কিছু কিছু ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না। সারাদিন অস্বস্তিকর পরিবেশে রীতিমত পাগল হয়ে যাচ্ছে সকলে। তার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন, কিছু কিছু জায়গায় তো কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত জায়গায় প্রচন্ড তাপপ্রবাহ বইছে, সেই সমস্ত জায়গাতে যদি মনে করা হয় তাহলে তারা অবশ্যই বিদ্যালয়গুলিকে মর্নিং এ অর্থাৎ সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত চালু করতে পারে।
এবার গরমের ছুটি আরো বাড়ানো হলো কিন্তু কোথায়?
আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কি আবারো গরমের ছুটি বাড়ানো হলো? এ বিষয়ে কি বলছেন রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় আর গরমের ছুটি বাড়ানোর সম্ভব নয়, কারণ অতিরিক্ত গরমের জন্য এমনিতেই প্রায় ৬০ দিনের কাছাকাছি ছুটি দেওয়া হয়ে গেছে, এতদিন ছুটিতে বাড়িতে বসে থাকলে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতে পারে।
আবারো কোথায় বেড়ে গেল গরমের ছুটি?
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশের বৃষ্টি আসতে আর খুব বেশি বাকি নেই, কিন্তু এবার গরমের ছুটি বাড়িয়ে দিল, এউ রাজ্য। আগামী ২৪ শে জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হল সামার ভ্যাকেশন। কিন্তু কোথায় সেটা কি জানেন?
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের ভীষণ পরিমাণে তাপপ্রবাহ চলছে। সেই তাপপ্রবাহে যাতে কোনভাবেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, সেই জন্য প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে আগামী ২৪ শে জুন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীকে রক্ষা করার জন্য গরমের ছুটি বাড়ানো হলো। প্রাইমারি স্কুল আরো চার দিন অর্থাৎ ২৮শে জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গরমের ছুটি। বিদ্যালয়ের শিক্ষা অধিকর্তা কাঞ্চন বর্মা এই তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন। আগেও এরকম প্রচন্ড গরমের কথা মাথায় রেখে ছুটি বাড়ানোর দাবি তুলেছিল শিক্ষক সংগঠনগুলো। যে পরিমাণে গরম চলছে তাতে ১৮ই জুন স্কুল খোলা কিছুতেই সম্ভব হবে না। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটির ৩০ শে জুন পর্যন্ত বাড়ানো উচিত এমনটাই দাবি তোলা হয়েছে।
