রিয়েলিটি শোয়ের শুরুর দিন থেকেই বারবার বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কখনও প্রতিযোগীদের একাংশ রিয়েলিটি শোয়ের ‘রিয়েলিটি’ নিয়ে অকপট হয়েছেন, কখনও বিচারকরা হতাশ হয়েছেন। এবার রিয়েলিটি শো নিয়ে বিস্ফোরক হলেন সুনিধি চৌহান (sunidhi chauhan)।
একসময় ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর পঞ্চম ও ষষ্ঠ সিজনের বিচারক ছিলেন সুনিধি। সম্প্রতি ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুনিধি জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ বিচারকদের স্বাধীন ভাবে মতামত প্রকাশ করার কোনো জায়গা নেই। তাঁকেও নির্মাতারা যা বলতেন তাই করতে হত। সুনিধি বলেছেন, প্রতিযোগীদের প্রশংসা করার উপর জোর না দেওয়া হলেও তাঁদের উপর চাপ থাকত। সুনিধি বুঝতে পারছিলেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ শিল্পের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। তাই একসময় তিনি এই শো ছেড়ে দেন। এরপর আর কোনো রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হতে রাজি নন সুনিধি।
রিয়েলিটি শোয়ের নির্মাতাদের এই আচরণের কারণ জানতে চাওয়া হলে সুনিধি বলেন, হয়তো এই ধরনের ফরম্যাটের মাধ্যমে দর্শকদের আকর্ষণ করতে সফল হন তাঁরা। দর্শকরা যাতে চুম্বকের মতো টেলিভিশনের পর্দায় এই শোয়ের দিকে আকৃষ্ট হন, তাই হয়তো বছরের পর বছর ধরে নির্মাতারা এই কাজ করে আসছেন। প্রসঙ্গত, সুনিধি খুব অল্প বয়সে ন্যাশনাল চ্যানেলের একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। কিন্তু অনেকের মতে, সেটি ছিল শুধুই প্রতিযোগিতা, তাতে ভালো সঙ্গীত ছাড়া দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য কোনও ফর্মুলা মানার দরকার পড়ত না। এমনকি এই শোয়ের বিচারকের আসন অলঙ্কৃত করতেন লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar), আশা ভোঁসলে (Asha bhonsle)-রা। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর শুরুর দিন থেকেই এই শো নিয়ে সন্দিহান ছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
চলতি বছরে অমিত কুমার ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর মঞ্চে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সেদিন ছিল ‘কিশোর কুমার স্পেশ্যাল’ পর্ব। ক্যামেরার সামনে প্রতিযোগীদের প্রশংসা করলেও শো থেকে বেরোনোর পরেই অমিত জানান, তাঁকে টাকার বিনিময়ে প্রতিযোগীদের প্রশংসা করতে বলা হয়েছিল। প্রতিযোগীদের গানের ভালো না লাগলেও অমিত তাঁদের প্রশংসা করেছিলেন কারণ অকপট হয়ে অমিত জানিয়েছেন, সত্যিই তাঁর টাকার দরকার ছিল।