Susmita Dey: শ্যুটিং করতে গিয়ে পায়ের নখ ভেঙেছে, মাথায় আঘাত পেয়েছি: সুস্মিতা
শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে ‘অপরাজিতা অপু’। সেই স্লটে আসতে চলেছে উড়ন তুবড়ি। দীর্ঘ দেড় বছরের যাত্রা সমাপ্তির মুখে। মন খারাপ অপুর। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা ভাগ করে নিলেন তাঁর দীর্ঘ এই সফরের অভিজ্ঞতা।
ধারাবাহিকটির প্রথম দিনের শ্যুটিংয়ের স্মৃতিতে উদ্বেল হয়ে ওঠেন সুস্মিতা। প্রথম দিনের শুটিংয়েই পায়ের নখ ভেঙে বসেছিলেন সুস্মিতা। তখন তিনি বানতলায় শ্যুটিং করছিলেন। একবার তিনি শ্যুটিং করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন।
প্রথমদিকে দু পাতা সংলাপ ঠিক করে বলতে পারতেন না সুস্মিতা। এখন তিনি অনর্গল বলে যেতে পারেন আট পাতা। এসবের জন্য তিনি তাঁর প্রযোজক সুশান্ত দাসকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। পর্দার দীপু অ্যাসিসট্যান্টের অপুর জন্য মন খারাপ, সুস্মিতাও কি মিস করছেন রোহানকে? সুস্মিতা জানান যে পর্দায় তাঁর মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন রোহন। পর্দায় হাত পা ছুড়ে কান্নাকাটি করছে। এমনকি অপুর হাসির চোটে সংলাপ ভুলে গিয়েছে দীপু। এর জন্য খেতে হয়েছে পরিচালকের জোর ধমক।
পর্দার অপু নবাগতা। প্রথম কাজ হিসাবে কি ইন্ডাস্ট্রি কোনো তথাকথিত রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন কি সুস্মিতা? সুস্মিতা স্পষ্ট জানান যে তাঁর চোখে কোনো রাজনীতি চোখে পড়েনি। বরং নবাগতা হিসাবে তিনি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছেন। তাঁর ফোকাস সবসময় কাজেই তাই এসব কিছু চোখে পড়ত না কোনোদিনও।
অপরাজিতা অপু তাঁকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। শান্ত সুস্মিতা ইউনিটের কল্যাণে এখন হয়ে উঠেছেন ছটফটে। এখন তিনি হয়ে উঠেছেন স্পষ্টবক্তা। পর্দার অপুর মতই তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখেছেন।
এখন পর্দার অপু মৃত। আসল অন্যায়কারীকে খুঁজে বের করতে এসে হয়ে উঠেছে মিসেস গোমস। তিনিই ধারাবাহিকে চিত্রনাট্যকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তাঁকে মেরে ফেলার জন্য। কারণ একটানা শ্যুটিং করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। গল্পের নতুন মোড়ের জন্য অন্তত কিছুদিনের জন্য তিনি ছুটি পেয়েছেন।
পর্দায় নিজের মেয়েকে মারা যেতে দেখে কি প্রতিক্রিয়া তাঁর পরিবারের? মা-বাবা নাকি জানিয়েছিলেন সেই পর্ব তাদের মোটেও ভালো লাগেনি। মেয়েকে এভাবে মারা যেতে দেখতে মোটেও ভালো লাগে না।
ধারাবাহিকটি শেষ সপ্তাহে এসে দাড়িয়ে। তাই তাঁর মন খারাপ। এটি তাঁর প্রথম ধারাবাহিক তাই মন খারাপটা আলাদা জায়গায়। প্রত্যেকটি চরিত্রকে তিনি মিস করবেন। গল্প একদম যথাযথ জায়গায় গিয়ে শেষ হয়েছে বলে দাবি অপুর। অপু বিডিও হতে পেরেছে। এটাই তো ধারাবাহিকের মূল গল্প ছিল।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে মানুষের অফুরান ভালোবাসা পেয়েছেন সুস্মিতা। এমনকি একটি মেলায় গিয়ে তাঁর জন্য জিলিপিও উপহার দিয়েছেন অনেকে। মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত। একদিন তিনি সকলের জন্য অনুষ্ঠানে অপেক্ষা করতেন এখন তাঁর জন্য সবাই অপেক্ষা করে।
আপাতত কাজের থেকে বিরতি নিতে চান তিনি। সপরিবারে খুব শীঘ্রই কোথাও বেরিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন সেই সাক্ষাৎকারে। তবে এবার বড় পর্দায় ফেরার ইচ্ছা আছে তার। বিয়ে নিয়ে এখন কিছু ভাবতে চান না অভিনেত্রী। তার মনের মানুষকে তার সাথে সব সময় থাকবে আর এই ভরসা তাঁর আছে।