ছবিতে থাকা ছোট্ট মেয়েটি আজ বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় নায়িকা, চিনতে পারছেন কি!
পুজোর আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। কাশফুলের দোলা জানান দিচ্ছে আগমনীর। একের পর এক পুজাবার্ষিকীর নতুন পাতার গন্ধ করে দিচ্ছে নস্টালজিক। স্মার্টফোনে বারবার নির্ঘন্ট ভাইরাল হচ্ছে। মা আসছেন। পুজোর মুখে সকলেই স্মৃতিচারণা করেন শৈশবের। সবকিছু ক্রমশ বদলে গিয়েছে। করোনার আসা-যাওয়ায় মানুষ শুনেছেন ‘লকডাউন’-এর মতো এক ভয়াবহ শব্দ। ফলে মনের মণিকোঠায় বারবার শৈশবের পদচারণা। সুস্মিতা দে (Susmita Dey)-ও বাদ গেলেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন তাঁর মেয়েবেলার সুন্দর ছবি।
বুধবার ইন্সটাগ্রামে সকলের সাথে সুস্মিতা ভাগ করে নিয়েছেন ছোট্ট এক টুকরো শৈশব স্মৃতি। তাঁর শেয়ার করা ছবিতে ধরা রয়েছে তাঁর মেয়েবেলার ইচ্ছা। শৈশব থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন সুস্মিতা। কিন্তু পড়াশোনার চাপে হয়ে ওঠা হয়নি শিশুশিল্পী। ফলে ক্যামেরার সামনেই সেজেগুজে ছবি তুলেছিলেন তিনি। ছবিতে একরত্তি সুস্মিতার পরনে রয়েছে নাইন্টিজের বিখ্যাত ফ্রিল দেওয়া সাদা ফ্রক। সেই সময় প্রায় সব ছোট মেয়েদের একটি করে এই ধরনের ফ্রক কিনে দেওয়া হত। গলায় রয়েছে রূপোলি কাগজ দিয়ে তৈরি মালা। হাতে চকচকে কাগজের তৈরি মানতাসা। মাথায় রূপোলি কাগজের মুকুট ও সাদা ওড়না ফুল করে পরানো। চোখের কোল ভরেছে কালো কাজলে। ঠোঁটে অবশ্যই মায়ের লাল লিপস্টিক। কারণ সেই সময় ছোট মেয়েদের জন্য লিপস্টিক ছিল প্রায় নিষিদ্ধ।
নাচের ভঙ্গিতে ডান হাতে ওড়না ও বাঁ হাতে ফ্রক ধরে ছবি তুলেছেন একরত্তি সুস্মিতা। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, স্বপ্ন, সেই দিনের জন্য যেদিন তা সফল হবে। ক্যাপশনের সাথে জুড়েছেন লাল রঙের হার্ট ইমোজি, সোনালি তারার ইমোজি। ক্যাপশনটি অবশ্যই সেদিনের ছোট্ট সুস্মিতার মনের কথা ছিল। বড় হয়ে স্বপ্নের পিছনে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।
কখন ‘অপরাজিতা অপু’, ‘বৌমা একঘর’ হয়ে ‘পঞ্চমী’-তে পরিণত হলেন, তার হিসাব বোধহয় সুস্মিতারও নেই। সদ্য অফ এয়ার হয়েছে ‘পঞ্চমী’। আরও অনেক কাজ করবেন সুস্মিতা। তবু তাঁর মনের কোণে থেকে যাবে স্বপ্ন দেখতে থাকা পরীর মতো ছোট্ট মেয়েটা।
View this post on Instagram