জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদাকে ‘দু’নম্বরি মাস্টার’ বলে খোঁচা শুভেন্দুর, পাল্টা তোপ দেবপ্রিয় মল্লিকের
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করেন ইডি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তার সল্টলেকের একজোড়া বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি অফিসাররা। বাড়িতে বসিয়ে মন্ত্রীকে জেরা করেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। টানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জেরার পর নেওয়া হয় গ্রেপ্তারীর সিদ্ধান্ত। ইডি সূত্রে জানা গেছে, বয়ানে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।
ইতিমধ্যে সেই দিন থেকে পেরিয়ে গেছে চারদিন। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই সোমবার ইডি দফতরে দেখা গেল মন্ত্রীর পরিবারের দুই সদস্যকে। সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তার মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক এবং মন্ত্রীর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। তাদের হাতে কিছু নথিও দেখা যায় এদিন। যদিও এই বিষয়ে প্রিয়দর্শিনী বলেন যে তার থেকে মেডিকেল নথি চেয়েছিল ইডি, যা তিনি দিতে এসেছিলেন। অন্যদিকে দেবপ্রিয় বাবু বলেন যে তিনি একটি এক পাতার চিঠি জমা দিতে এসেছিলেন। তবে সেই চিঠিতে কি ছিল তা জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী সহোদর বলেন যে এই বিষয়ে নাকি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ইডি ভালোভাবে বলতে পারবে।
আর এবার সিজিও কমপ্লেক্সে রাজ্যের মন্ত্রীর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের হাজিরা দেওয়ার ঘটনাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা এই বিষয়ে বলেন, “পাবলিক সার্ভিস কমিশনে দু-নম্বরির মাস্টার। এই যে BDO গুলো ম্যাক্সিমাম চুরি করেছে, ১৫-১৬, ১৬-১৭-, ১৭-১৮ যার আমি আরটিআই করেছিলাম। একটা পার্টের দিয়েছে। আরেকটা পার্টের দেয়নি। সময় নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দেবপ্রিয় মল্লিক PSC স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত।”
উল্লেখ্য, দেবপ্রিয় বাবু পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও তিনি বেশ কয়েকবছর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যও ছিলেন। তাই তাকে খোঁচা দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পাবলিক সার্ভিস কমিশনটা লুঠ করেছে তো। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দীর্ঘদিনের মেম্বার দেবপ্রিয় মল্লিক।” যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্যও করতে শোনা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদাকে। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “২০১৬-র শেষ দিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য পদ ছেড়ে দিই। ৫ জনের কমিটিতে ছিলাম, একা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। এটা কোনও খনি নয় যে, লুঠ হবে, যেটা হলদিয়াতে হয়।”