বর্তমানে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) ব্যস্ত তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘শ্রীমতী’-র প্রোমোশন নিয়ে। কিছুদিন আগে ‘শ্রীমতী’-র প্রোমোশনের সময় ব্যাকলেস ব্লাউজ পরে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। বরাবরের স্পষ্টবক্তা স্বস্তিকা এবার জানালেন, একসময় মুম্বইয়ের মাটিতে পরপর এগারোটি অডিশনে রিজেক্ট হয়েছিলেন তিনি।
‘শ্রীমতী’ এমন এক মহিলার কাহিনী যে সংসার করতে ভালোবাসে। সে হোমমেকার হতে চেয়েছে স্বেচ্ছায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় সমাজ গৃহবধূদের মূল্য দেয় না। তাঁদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকার কারণে মনে করা হয় তাঁরা দুর্বল। তাঁদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না সমাজ। সেইসব গৃহবধূদের ভালো থাকার গল্প ‘শ্রীমতী’। স্বস্তিকা বরাবর নারীকেন্দ্রিক ফিল্মে অভিনয় করতে পছন্দ করেন। তাঁর বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় (Santu Mukherjee)-র কাছ থেকে টেকনিক্যাল দিক শিখলেও স্বস্তিকা নারী হিসাবেই নিজের রসদ নিজে খুঁজেছেন। ‘শ্রীমতী’-র শুটিং চলাকালীন পিতৃহারা হয়েছিলেন স্বস্তিকা।
View this post on Instagram
স্বস্তিকা জানিয়েছেন, সেদিনও তাঁকে শুটিং করতে হয়েছিল। এই শিক্ষা তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। স্বস্তিকার ঠাকুরদা যেদিন মারা যান, সেদিন সন্তুকেও শুটিং চালিয়ে যেতে হয়েছিল। কারণ পরের দিন স্টুডিও পাওয়া যাচ্ছিল না। সেট ভেঙে ফেলার কথা ছিল। স্বস্তিকা মুখ খুলেছেন সাম্প্রতিক কালে পরপর কয়েকজন অভিনেত্রীর আত্মহত্যার প্রসঙ্গেও। স্বস্তিকা মনে করেন, চটজলদি খ্যাতির লোভে অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন। তাঁরা অভিনয়কে ভালোবাসেন না। এখানেই ঘটে যায় সমস্যা। বৈভব তাঁদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি হয়ে ওঠে। ‘পাতাললোক’, ‘দিল বেচারা’-র মতো প্রজেক্টে অভিনয়ের পরেও মুম্বইয়ের বুকে পরপর এগারোটি অডিশন থেকে রিজেক্ট হয়েছেন স্বস্তিকা।
কিন্তু তবু মানসিক অবসাদে ডুবে যাননি স্বস্তিকা। তিনি বরং যাঁরা ওই এগারোটি অডিশন নিয়েছেন, তাঁদের ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর রিজেক্ট হওয়ার কারণ। স্বস্তিকা অভিনয়কে ভালোবেসে সবসময়ই একশো শতাংশ দিতে চেয়েছেন। এমনকি তিনি এখনও নিজের গ্রুমিং করে চলেছেন নিজেকে আরও পোক্ত করে তোলার জন্য। শো-অফ করতে চাননি স্বস্তিকা। অভিনয়কে সম্মান দিতে চেয়েছেন তিনি।
View this post on Instagram