whatsapp channel

Iman Chakraborty: ইউটিউব নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হলো ইমনকে

ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। বর্তমানে ফেসবুকের প‍্যারেন্টাল কোম্পানি ‘মেটা’-র অন্তর্গত ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়্যাটসঅ্যাপ। পরিবর্তন ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মে। বদলাচ্ছে ইউটিউবও। ইউটিউবে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি…

Avatar

Nilanjana Pande

ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। বর্তমানে ফেসবুকের প‍্যারেন্টাল কোম্পানি ‘মেটা’-র অন্তর্গত ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়্যাটসঅ্যাপ। পরিবর্তন ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মে। বদলাচ্ছে ইউটিউবও। ইউটিউবে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়ম যা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এই নিয়মগুলি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ অবগত ন। কারণ ইউটিউবের তরফে তা কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করা হয়নি। ফলে বহু ইউটিউবার জানতেই পারছেন না, রাতারাতি ডিলিট হয়ে যাচ্ছে তাঁদের ইউটিউব চ্যানেল। গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)-র ইউটিউব চ্যানেলটিও ডিলিট হয়ে গিয়েছিল তাঁর অজান্তেই। এই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা দুই একরত্তি যমজ শিল্পী বোন তানি-মুনি (Tani-Muni)-র। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাদের ইউটিউব চ্যানেলটিও।

তানি-মুনির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, তাদের ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। ফলে তা ডিলিট হয়ে গিয়েছে। তবে তা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে তানি-মুনি। এই ক্ষেত্রে সকলের শুভকামনা চেয়েছে তারা। পাশাপাশি অন্য ইউটিউবারদের সচেতন করেছেন তানি-মুনির মা-বাবা। তবে তানি-মুনির বাবা দেবাশিস দত্ত (Debashish Dutta) একটি পোস্টে লিখেছেন, হয়তো ইউটিউব নিজস্ব পলিসিতে কোনো পরিবর্তন এনেছে। এই কারণেই যাঁরা কভার সং আপলোড করেন, তাঁদের চ্যানেল ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে। চ্যানেল ডিলিট হওয়ার কারণে ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ই মেল করলেও কোনো উত্তর আসেনি বলে জানিয়েছেন দেবাশিস। তবে মঙ্গলবার বিকালে ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট করে দেবাশিস জানিয়েছেন, তানি-মুনির ইউটিউব চ্যানেল আবারও অ্যাকসেস পেয়েছে।

অপরদিকে ইমন ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ইউটিউব কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে একটি ইমেল পাঠিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর চ্যানেল। ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষুব্ধ শিল্পী বলেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলা গানের প্রচার করছিলেন তিনি। কিন্তু চ্যানেলটি ডিলিট হয়ে যাওয়ার ফলে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে ইমনও একটি ফেসবুক লাইভ করে ইউটিউব ইন্ডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর চ্যানেল তিনি ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু তানি-মুনি অথবা ইমন কেউই জানাননি, আদতে ঘটনাটি কি ঘটেছিল!

কভার সং যাঁরা আপলোড করেন, সেই সব শিল্পীদের চ্যানেল বন্ধ করার পলিসি যদি ইউটিউব নিত, তাহলে মুম্বইয়ের অধিকাংশ শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেত। এই ক্ষেত্রে বাংলার শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

whatsapp logo