দর্শককে চটানোর ফল, নায়ক বদলের কারণেই কি মাঝপথেই বিদায় ‘এক্কা দোক্কা’র!
নতুনদের পথ চলা শুরু করার জন্য পুরনোদেরই জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। কখনো কয়েক বছর পুরনো, কখনো আবার মাত্র কয়েক মাস পুরনো সিরিয়ালের উপরেও নজর পড়ে নির্মাতাদের। একই হাল হতে চলেছে ‘এক্কা দোক্কা’র (Ekka Dokka)। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকও পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিল চ্যানেল থেকে। সদ্য শনিবার হয়ে গেল সিরিয়ালের অন্তিম পর্বের শুটিং। আর কিছুদিন পরেই দর্শকদের ড্রয়িং রুম থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে রাধিকা, পোখরাজ এর মতো চরিত্রগুলি।
সবে মাত্র এক বছর পূর্ণ হয়ে দু মাস অতিবাহিত করেছিল এক্কা দোক্কা। কিন্তু এর থেকে বেশিদিন মেয়াদ লেখা ছিল না ধারাবাহিকের কপালে। তাড়াতাড়ি করেই শেষ করে দেওয়া হল সিরিয়ালটি। এমনিতে সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর খুব বেশিবার টিআরপি তালিকার প্রথম দশে উঠতে পারেনি এক্কা দোক্কা। তার মধ্যে সম্প্রতি আরো কমে গিয়েছিল টিআরপি। সম্ভবত সিরিয়ালের নায়ক বদল তেমন পছন্দ করছিলেন না দর্শকরা।
আসলে এক্কা দোক্কার শুরু হয়েছিল রাধিকা এবং পোখরাজের গল্প নিয়ে। দুই মেডিক্যাল পড়ুয়ার প্রাথমিক রেষারেষির গল্পকে কেন্দ্র করেই বোনা হয়েছিল গল্পের সুতো। তেমন ভাবেই চলছিল সিরিয়াল। কিন্তু হঠাৎ করেই সিরিয়ালে আসে মোড়। রাধিকা এবং পোখরাজের মাঝে ডাক্তার অনির্বাণ রূপে ঢুকে পড়েন অভিনেতা প্রতীক সেন। তারপর থেকেই অদ্ভূত ভাবে ‘এক্কা দোক্কা’ হয়ে ওঠে ‘মোহর ২’। সোনামণি সাহা এবং প্রতীকের ভক্তরা এতে খুশি হলেও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ‘রাধিরাজ’ অনুরাগীরা। এভাবে কোনো সিরিয়ালের নায়ক বদলে যাওয়ার উদাহরণও নতুন।
সব মিলিয়েই টিআরপিতে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল। বিষয়টা এড়িয়ে যাননি সোনামণিও। তিনিও মন্তব্য করেছিলেন, দর্শকদের হয়তো কোনো কিছু পছন্দ হয়নি। তার কোপ পড়েছে এক্কা দোক্কার টিআরপিতে। শেষমেষ শনিবারই ইতি টেনে দেওয়া হল গল্পে। শেষ দিনেও যেন কিছুটা তফাতেই থাকলেন পোখরাজ ওরফে সপ্তর্ষি মৌলিক। গ্রুপ ফটোতে তিনি থাকলেও রাধিকা ওরফে সোনামণির ছবিতে দেখা গেল না তাঁকে।
View this post on Instagram