তনুশ্রী দত্ত, বর্তমান বলিউডে হারিয়ে যাওয়া একটি নাম। ২০০৫ সালে তার বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে, চকলেট এবং আশিক বানায় আপনে চলচ্চিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। পেশাগত দিক থেকে তেমন সাফল্য তিনি পাননি। প্রথম থেকেই বি গ্রেডের অভিনেত্রী থেকে গেছেন, কিন্তু তার কমার্শিয়াল ফিল্মের গান আজকের দিনে দাড়িয়েও হিট।
তনুশ্রী, জন্মগ্রহণ করেন ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে একটি রক্ষণশীল বাঙালি হিন্দু পরিবারে। ওখানেই পড়াশুনো এবং ২০০৪ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স শিরোপা লাভ করেন। অবশ্য, এই মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে, তিনি হ্যারি আনন্দের একটি ভারতীয় পপ মিউজিক ভিডিও, “সাইয়ান দিল মিনা আনা রে” নামে একটি ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন।
আগের তনুশ্রী আর এখনকার তনুশ্রীর মধ্যে অনেকটা ফারাক রয়েছে। তার চেহারা আর সৌন্দর্যে অনেক বদল ঘটেছে, কিন্তু চিন্তা ভাবনা স্মৃতি এসব আজও জড়িয়ে আছে একই রকম ভাবে তার মননে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার অতীত জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন মিডিয়ার সামনে। কী সেই অভিজ্ঞতা?
হেডলাইনে বলা আছে, তনুশ্রী মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, হ্যাঁ, ঠিক তাই। জন্মের পরেই তাঁর বাবা-মাকে সন্তানের সৎকার করার কথা বলেছিলেন চিকিৎসক। মাত্র, সাত মাসের মধ্যে জন্ম হয়েছিল তনুশ্রীর। ‘প্রি-ম্যাচিওর’ ছিলেন তিনি। জন্মের পরেই তার শরীরে জন্ডিস ধরা পড়েছিল। চিকিৎসকরা একপ্রকার হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। জবাব দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা, কিন্তু তনুশ্রীর জীবন জবাব দেয়নি। সেই সময়েও প্রাণে বেঁচে যান তনুশ্রী।
এরপর একটু বড় হয়ে অন্যরকভাবে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। কিছু বন্ধু মিলে মুম্বইয়ের ট্রেন লাইন পেরতে গিয়ে, ট্রেনে চাপা পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তনুশ্রী জানিয়েছিলেন, “কয়েক মুহূর্তের জন্য গোটা জীবনটা আমার চোখের সামনে ভাসছিল। কিন্তু সে যাত্রাতেও বেঁচে যাই।” এ ছাড়াও এক বার গুরুতর পথ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন।