সময়টা একবিংশ শতকের শুরুর দিক। স্মার্ট ফোনের দিন আসেনি তখনও। সিক্সটিন প্লাস নয়, তখন সতর্কীকরণ এইট্টিন প্লাস হত। বলিউডে প্রবেশ করেনি অবাধ যৌনতা। সেই সময় তৈরি হয় ইমরান হাশমি (Emran Hashmi) ও তনুশ্রী দত্ত (Tanushree Dutta) অভিনীত ফিল্ম ‘আশিক বানায়া আপনে’। এই ফিল্ম বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল। ফিল্মের গান ‘আশিক বানায়া আপনে’ হয়েছিল যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই গানে ইমরান ও তনুশ্রীর শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তুলে ধরা হয়েছিল যা সকলের কাছে সেই সময় ছিল যথেষ্ট চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। তৎকালীন সমাজে অনেকেই এই ফিল্মকে দিয়েছিলেন অশালীন তকমা। তবে টিনএজাররা যথেষ্ট লুকিয়ে-চুরিয়ে ফিল্মটি দেখেছিল। অবশ্যই অনেকের কাছে ছিল সেদিন ‘আশিক বানায়া আপনে’ হয়ে উঠেছিল নিষিদ্ধ বিনোদন।
‘আশিক বানায়া আপনে’ মুক্তির আঠারো বছর পর সাম্প্রতিক কালে মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’। রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor) ও রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna) অভিনীত এই ফিল্মে জোয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৃপ্তি দিমরি (Tripti Dimri)। এই ফিল্মে রণবীরের সাথে সম্পূর্ণ নগ্ন শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করেছেন তৃপ্তি। এই দৃশ্যে অভিনয়ের সময় ঘরে শুধুমাত্র উপস্থিত ছিল ফিল্মের পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা (Sandip Reddy Bhanga), ডিওপি অর্থাৎ ক্যামেরাম্যান, রণবীর ও তৃপ্তি নিজে। তৃপ্তি তাঁর তুলনায় বয়সে অনেকটাই ছোট হওয়ার কারণে রণবীর সতর্ক ছিলেন। নিঃসন্দেহে এই ঘটনা তৃপ্তির পক্ষে যথেষ্ট ইতিবাচক।
কিন্তু আঠারো বছর আগে যখন তনুশ্রী ও ইমরান অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুট করছিলেন, তখন ঘরে উপস্থিত ছিলেন সম্পূর্ণ ইউনিট। ওই দৃশ্যে শুধুমাত্র ইমরানকে চুম্বন করা নয়, টপলেস হয়েছিলেন তনুশ্রী। পর্দায় তাঁকে এই দৃশ্যে সাবলীল লাগলেও পরবর্তীকালে তনুশ্রী জানিয়েছিলেন, কোনো ভাবেই এই দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। ওই ঘরে ইউনিটের সকলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তনুশ্রীর অস্বস্তিতে কারও কিছুই যায়-আসেনি। উপরন্তু, ইমরানের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে তনুশ্রীকে খেয়াল রাখতে হয়েছিল, মেকআপ যেন নষ্ট না হয়। কারণ ক্যামেরায় সুন্দর দেখতে লাগতেই হবে।
প্রাক্তন ভারতসুন্দরী তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সিঁড়িতে ইমরানের সাথে ঘনিষ্ঠ চুম্বন দৃশ্যে ক্যামেরার আলোয় তনুশ্রীর চেহারায় সমস্যা দেখা দিলেও ডিওপির দক্ষতায় তা বোঝা যায়নি। ফলে দৃশ্যটি যথেষ্ট ভালোভাবেই উতরে গিয়েছিল। তবে এই দৃশ্যে অভিনয়ের পর ভয়ে দুই দিন মা-বাবার সাথে কথা বলেননি তনুশ্রী। কিন্তু পরে তাঁর মা-বাবাই পরিস্থিতি সহজ করে দিয়েছিলেন।
View this post on Instagram
