সম্প্রতি মিনি ছবির প্রোমোশনে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। সেখানে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেক কথা ভাগ করে নেন মিমি চক্রবর্তী। গত লোকসভা ভোটে ২০১৯ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সাংসদ হওয়ার আগের অভিজ্ঞতাও ছোটপর্দার দিদির কাছে ভাগ করে নেন তিনি। তিনি যখন প্রত্যেকের দুয়ারে ভোট চাওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন সবাই যে মিমিকে এতদিন রুপোলি পর্দায় দেখেছিল তাকে সামনে থেকে দেখে বলেছিলেন যে তিনি খুব রোগা।
তিনি তাঁর ভোটারের বাড়িতে বসে চাও খেয়েছেন। এই শুনে পাশ থেকে অভিনেত্রী তনুশ্রী জানান যে তিনি যাদবপুরে বাসিন্দা হওয়া সত্বেও মিমি তার বাড়িতে চা খেতে আসেননি। পাশ থেকে পাল্টা মিমি বলেন যে তিনি তনুশ্রী বাড়িতে চা খেতে জান নি কারণ তনুশ্রী তাকে ভোট দেবেন না কারণ সে এই বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
লোকের উপকার করতে পারলে অদ্ভুত প্রশান্তি আসে মিমি চক্রবর্তীর মনে। তাই কি তিনি রাজনীতিতে পা দিলেন? তেমনটা বিজি চক্রবর্তী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জানিয়েছেন যে মানুষের উপকার করতে তিনি বরাবর ভালোবাসেন কিন্তু প্রকৃত অর্থে উপকার করতে গেলে একটি রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী যখন তাকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য বলেছিলেন তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
মিমি চক্রবর্তীর পাশাপাশি দিদি নাম্বার ওয়ান এর বিশেষ পর্বে বসতে চলেছে চাঁদের হাট। মিমি, তনুশ্রী, পার্নো মিত্র, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকাদের সমাগমে ছয়লাপ দিদির মঞ্চ। সেখানে মিমি চক্রবর্তী তার ছোটবেলার কথা অকপটে ভাগ করে নিয়েছেন দিদির সঙ্গে। ছোটবেলায় কেমন ছিলেন মিমি? মিনি নিজেই বলেন যে প্রচণ্ড দুষ্টু ছিলেন। এতটাই তাঁর কারণে অন্যেরা মার খেতেন। পাশাপাশি, স্কুলে তিনি বিখ্যাত ছিলেন পরোপকারের জন্য। কেউ ছুটে আসলেই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। কাউকে সাহায্য করতে কোনদিনও দ্বিধাবোধ করেননি তিনি।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে মিমির সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী। এক বছর নাকি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সত্যিই কি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি? মিমি জানান যে তিনি কোনদিনও পরীক্ষায় ফেল করেন নি বরং ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন তিনি। তনুশ্রী সম্পূর্ণ মিমির লেগপুলিং করতে এ ধরনের কথা বলেছিলেন।