whatsapp channel

Taslima Nasrin: পঙ্গু হতে চলেছেন তসলিমা নাসরিন! ফেসবুক পোস্টে বিশেষ অঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

বাংলা সাহিত্য জগতে নারীবাদের ধারণাকে আরো প্রবলভাবে স্থাপনা করার পিছনে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম যার, তিনি হলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নানা ট্যাবু-র বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা কথা বলে…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

বাংলা সাহিত্য জগতে নারীবাদের ধারণাকে আরো প্রবলভাবে স্থাপনা করার পিছনে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম যার, তিনি হলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নানা ট্যাবু-র বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা কথা বলে সমালোচিত হয়েছেন এই লেখিকা। দেশ থেকে বিতাড়িতও হয়েছেন একটা সময়। বিদেশ থেকেই নিজের সাহিত্যচর্চা নিয়ে মশগুল থাকেন এই লেখিকা। তবে দেশজুড়ে এখনো বিদ্যমান তার অগণিত ভক্তকূল। তাই ভক্তদের ছুঁয়ে তিনি থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় এই লেখিকা। আর এই সামাজিক মাধ্যমেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

সম্প্রতি ফেসবুকে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন লেখিকা। এই পোস্টে এক শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক কথাবার্তা লেখেন তিনি। তার ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’-এর পর নাকি আর হাঁটতে পারছেন না তিনি এবং তিনি পঙ্গু হতে চলেছেন, এমনটাই অভিযোগ করেন। তসলিমা লেখেন, ‘মানুষকে বিশ্বাস করার ফল কী হতে পারে, যারা বন্ধু নয়, তাদের বন্ধু ভাবার ফল কী হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। নিজের জীবন দিয়ে টের পেলাম।’

এই পোস্টে লেখিকা বিষয়টির বিস্তারিতও জানান। তিনি লেখেন, ‘হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম তিনি বোধ হয় বন্ধু, তাঁকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিলেন তাঁর হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান ট্রিটমেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বার বার এসেছেন আমাকে কনভিন্স করতে। তিন-চার জন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে। আমাকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি নিজে চিন্তা করতে, বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কারও সঙ্গে কথা বলতে। যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেই সমস্যার ট্রিটমেন্ট না করে ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আমার শরীরের সুস্থ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না বড় ডাক্তাররা এমন ভয়াবহ ক্রাইম করতে পারেন। আর আমারও বুদ্ধিসুদ্ধি কোথায় গিয়েছিল যে, এমন ক্রাইমের শিকার হতে নিজেকে দিলাম।’

লেখিকার এই পোস্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে তার ভক্তদের। তাহলে কি সত্যিই খারাপ অবস্থায় লেখিকার শারীরিক অবস্থা? এই প্রশ্নে শোরগোল পড়েছে লেখক মহলেও। যদিও এই পোস্টে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি।

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা