Tax Benifit: এই তিন ভাতা পেলে দিতে হবে না আয়কর, জেনে নিন সঠিক নিয়ম
ভারতের প্রতিটি নাগরিক, যারা নিয়মিত সরকারি বা বেসিরকারী কোনো সংস্থা থেকে উপার্জন করেন, তখন তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত। এখন বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা শেষ হয়েছও। ৩১ ডিসেম্বর অবধি করা যেত এই কাজটি।
শুরু হয়েছে নতুন বছর। আরো কয়েকমাস পরেই শুরু হবে আয়কর রিটার্ন ফাইলের প্রক্রিয়া। তবে আয়কর রিটার্ন ফাইলের আগে তার নিয়মগুলি সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। অর্থাৎ, কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর জমা করা আবশ্যক এবং কোন কোন বিষয়ে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়, তাও জানা দরকার প্রতিটি করদাতার। যদিও ভারতের আয়কর আইনের অধীনে এমন হাজারো নিবন্ধ রয়েছে, যা আয়করের নিয়ম নির্দেশ করে। এখন দেখে নিন যে কোন তিন ভাতার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নে ছাড় পাওয়া যায়।
● স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: বেতনভোগী যেকোনো কর্মচারী এই ধরণের আয়কর ছাড় পেয়ে থাকেন। ২০২২- ২৩ অর্থবছরে, পুরনো আয়কর নিয়ম অনুযায়ী এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা ছিল ৫০,০০০ টাকা। গত অর্থবর্ষেও এই সীমা একই ছিল। অর্থাৎ যারা ৫০ হাজার টাকা অবধি বেতন পান, তাদের আয়কর দিতে হবেনা।
● বাড়ি ভাড়া ভাতা: একাধিক সরকারি দফতর বা বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বা HRA প্রদান করে থাকে। আর এই ধরণের ভাতা আয়করের মধ্যে পড়ে না। তবে এক্ষেত্রে ভাতা পাওয়ার স্লিপ জমা করা অত্যন্ত জরুরি।
● ভ্রমণ ভাতা: সরকারি বা বেসরকারি অনেক সংস্থায় কর্মচারীদের ভ্রমণ ভাতা দেওয়া হয় থাকে। এই ধরণের ভাতা আয়করের আওতায় পড়ে না। তবে চার বছরের ব্লকে দু’বার এই ভাতার উপরে করছাড় দাবি করা যায়। এছাড়াও দেশের মধ্যে ভ্রমন করলেই এই ছাড় মিলবে। যাতায়াতে ব্যবহার করতে হবে গণপরিবহন। তবে কেনাকাটা বা ব্যক্তিগত খরচে এই ছাড় দাবি করা যায়না।