Sweta Bhattacharya: চোরের সঙ্গে মারপিট, রক্তারক্তি কান্ড, হাড় হিম করা কাহিনী শুনুন শ্বেতার মুখে
বাংলা ধারাবাহিক জগতে শ্বেতা ভট্টাচার্য হল চটকদার ও জনপ্রিয় মুখ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছয় ছয়টি ধারাবাহিকে লিড চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেন। শুরুটা হয়েছিল ‘সিঁদুর খেলা’-র লিড চরিত্রের সাথে। প্রথম ধারাবাহিকে বাজিমাৎ অভিনেত্রী। এরপর ‘ভালবাসা ডট কম’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, ‘কনককাঁকন’, ‘যমুনা ঢাকি’— পরপর ছ’টি বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করেন। বিশেষত, শ্বেতার মিষ্টি হাসি আর অসামান্য সুন্দর মুখে ফিদা বহু দর্শক।
কেরিয়ারের প্রথম দিকে নৃত্যশিল্পী হওয়ার ইচ্ছায় একটি নাচের রিয়্যালিটি শোয়ে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতা কারণে সরে আসেন। তখন থেকেই অভিনয়ের জন্য ডাক আসতে শুরু করে। এমনকি পরিচালক রাজ চক্রবর্তী চিরদিনই তুমি যে আমার সিনেমার জন্য প্রথম অফার শ্বেতাকে দেন। কিন্তু, পড়াশুনোর জন্য সেই অফার ফিরিয়ে দেন। সেই সময় কিছু বাংলা সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেন শ্বেতা।
তবে, এখন যেই ঘটনার কথা বলা হবে সেটি হলো বেশ কিছু বছর আগের। সেই সময় শ্বেতা অভিনয় করছিলেন ‘তুমি রবে নীরবে’ ধারাবাহিকে। গল্পে, মূক ও বধির ঝিলের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী। এবং সেইসময় দিদি নং ওয়ান মঞ্চে আসেন। এসেই দিদির সঙ্গে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা শেয়ার করেন।
শ্বেতা বরাবর তার মায়ের সঙ্গে এদিক ওদিক যান। একবার ওষুধের দোকানে মায়ের সঙ্গে গিয়েছেন। ফোন দুটো পাশে রেখে ওষুধ কিনছেন। শ্বেতা বুঝতে পারছিলেন কেউ তার ফোন ও তাকে ফলো করছে। ওষুধ কেনার পর বাইরে বেড়িয়ে হাঁটতে শুরু করলে ওই ছেলেটি শ্বেতার ফোন পিছন থেকে কেড়ে নিয়ে পালায়, শ্বেতাও দৌঁড়ে কলার ধরে টেনে ফোন কেড়ে নেয়, এরপর চলে এলোপাথাড়ি ঘুষি চর থাপ্পড়। চোরটি ব্লেড বের করে আঘাত করতে চায়, শ্বেতা আটকাতে গেলে মুখের বদলে হাতের পাতা চিড়ে যায়, রক্ত বেরোয়। এরপর পাড়ার লোক এসে পুরো ব্যাপার সামলে নেয়। এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিদি র সঙ্গে শেয়ার করা ঘটনা পুনরায় দর্শকরা শুনতে পেরে শ্বেতার সাহসের প্রশংসার ঝড় তুলেছে কমেন্ট বক্সে।