মিঠাইকে জরিয়ে ধরে আদর মুখ্যমন্ত্রীর, কারা কারা পেলেন টেলি সম্মান! রইলো তালিকা
গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২২। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক মহলের সমস্ত মহারথীদের এই দিন এক মঞ্চে দেখা গেল। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলি অ্যাকাডেমি তৈরি করেন। সেই বছর থেকেই শুরু হয় এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান। সাংস্কৃতিক জগতের তারকাদের এই এবার সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগে দেওয়া হয়ে থাকে।
গতকাল এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারুইপুরে টেলি অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তিনি বলেন যে তিনি সময় পেলেই সিরিয়াল দেখেন। বাংলা সিরিয়াল আমাদের রাজ্যের অর্থনীতিকে অনেকটাই সবল করেছে এই স্বীকারোক্তিও করেন তিনি। কমবেশি জি বাংলা এবং স্টার জলসার সকল ধারাবাহিকে পুরস্কৃত হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে এই পুরস্কার পুরস্কারপ্রাপকদের হাতে তুলে দেন। তালিকা অনুযায়ী স্টার জলসার ঝুলিতে ২২টি সঞ্চিত হয়েছে এবং জি বাংলা পেয়েছে ১০টি অ্যাওয়ার্ড। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা ছিনিয়ে নিলেন পুরস্কার।
১. সেরা শিশু অভিনেতা – মেঘন চক্রবর্তী
২. সেরা অভিনেত্রী – সৌমিতৃষা কুন্ডু (মিঠাই) , সোনামণি সাহা (মোহর)
৩. সেরা অভিনেতা – আদৃত রায় (মিঠাই ) , প্রতীক সেন (মোহর)
৪. সেরা অভিনেতা – খল চরিত্র – দেবজ্যোতি রায় চৌধুরী (কপাল কুন্ডলা)
৫. সেরা অভিনেত্রী – খল চরিত্র – ঊষসী চক্রবর্তী (শ্রীময়ী)
৬. সেরা সহ অভিনেতা – বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী (মিঠাই) , টোটা রায় চৌধুরী (শ্রীময়ী)
৭. সেরা সহ অভিনেত্রী – আর্যা ব্যানার্জী (ফিরকি) , লাবনী সরকার (ফেলনা)
৮. সেরা জুটি – শন ব্যানার্জী ও সৃজলা গুহ (মন ফাগুন) , কৌশিক রায় ও তৃণা সাহা (খড়কুটো)
৯. সেরা মা – সুভদ্রা মুখার্জী
১০. সেরা পরিবার – অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেইনমেন্ট (মন ফাগুন) , ম্যাজিক মোমেন্টস (খড়কুটো)
১১. সর্বাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক – জী এন্টারটেইনমেন্ট (মিঠাই)
১২. সেরা কৌতুক অভিনেতা – অম্বরিশ ভট্টাচার্য (খড়কুটো) , অসীম রায় চৌধুরী
১৩. সেরা কৌতুক অভিনেত্রী – অন্বেষা হাজরা (এই পথ যদি না শেষ হয়) ,
১৪. সেরা বয়স্ক জুটি – দুলাল লাহিড়ী ও রত্না ঘোষাল
১৫. সেরা প্রযোজক – স্নেহাশিস চক্রবর্তী (ব্লুজ)
১৬. সেরা পরিচালক – সৌমেন হালদার (অ্যাক্রোপলিস)
১৭. সেরা চিত্রগ্রাহক – মাধব নস্কর
১৮. সেরা কাহিনীকার – লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. সেরা চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা – শাশ্বতী ঘোষ (জী এন্টারটেইনমন্ট)
২০. সেরা সম্পাদক – নীলাঞ্জন মন্ডল (অ্যাক্রোপলিস)
২১. সেরা শব্দ গ্রাহক – শম্ভু দাস
২২. সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনার – কৃষ্ণেন্দু কাড়ার
২৩. সেরা শিল্প নির্দেশনা – আনন্দ আঢ্য
২৪. সেরা পোশাক পরিকল্পনাকারী – সন্দীপ জয়সাওয়াল
২৫. সেরা পরিচালক (নন ফিকশন) – অভিজিৎ সেন
২৬. সেরা সঞ্চালক (নন ফিকশন) – সৌরভ গাঙ্গুলি
২৭. সেরা সম্পাদক (নন ফিকশন) – বিকাশ সরাফ
২৮. সেরা গবেষক – শিবাশিষ ব্যানার্জী
২৯. সেরা ভি এফ এক্স – রজত দলুই (৪ডি)
৩০. সেরা রূপসজ্জা – পাপিয়া চন্দ (নন ফিকশন) , প্রবীর ব্যানার্জী (ফিকশন)
৩১. সেরা কেশ বিন্যাস শিল্পী – শর্মিষ্ঠা মাঝি , জয়শ্রী দাস
৩২. সবচেয়ে অনুপ্রেরণা মূলক চরিত্র – শোলাঙ্কি রায় (প্রথমা কাদম্বিনী) , শ্রীময়ী (শ্রীময়ী) , শ্বেতা ভট্টাচার্য (যমুনা ঢাকি)
৩৩. আজীবন অবদানের স্বীকৃতি – শকুন্তলা বড়ুয়া
৩৪. মরণোত্তর বিশেষ সম্মান – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
৩৫. অসাধারণ প্রত্যাবর্তন – ঐন্দ্রিলা শর্মা
৩৬. পাদ প্রদীপের আলো – শান্তি গোপাল মুখার্জী
৩৭. বিশেষ পুরস্কার – সব্যসাচী চৌধুরী (মহাপীঠ তারাপীঠ), প্রীতি বিশ্বাস ( ধুলোকণা)