কেন্দ্রের থেকে কত টাকা কম পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সম্প্রতি মহার্ঘ ভাতা ওরফে ডি এ (DA) বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের। কয়েকটি রাজ্য বাদে বাকি সব রাজ্যেই সরকারি কর্মচারীরা (Government Employee) কেন্দ্রীয় হারে ডি এ পেয়ে থাকেন। এই বাকি রাজ্যগুলির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যেখানে ৪৬ শতাংশ হারে ডি এ পাচ্ছে, সেখানে বকেয়া ডি এ-র দাবিতে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন চলছে রাজ্যে। এর মাঝেই ডি এ নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ডি এ সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়। কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেছিলেন, বিগত বাম সরকারের করে যাওয়া দেনা পরিশোধ করতে করতেই বর্তমান সরকারের কোষাগার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এরপরেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ডি এ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট বকেয়া ডি এ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই বিরোধিতায় সরকার SPL দায়ের করে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করতে পারেন কী করে?
এমন প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, তখনই বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ডি এ নিয়ে যে তথ্য মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তা অসত্য। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ৪৬ শতাংশ হারে ডি এ পাচ্ছে। কিন্তু তার তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা কিছুই পাচ্ছেন না। রাজ্য পুলিশও ডি এ পাচ্ছেন না। তিনি এও দাবি করেন, একজন কনস্টেবল ২০ হাজার টাকারও কম বেতন পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রাজ্যের একজন গ্রুপ ডি কর্মীর প্রাথমিক বেতন ছিল ১৭ হাজার টাকা, যেটা ২০২২ সালে বেড়ে হয় ২১ হাজার টাকা। AICPI অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডি এ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২১ হাজারের ৩৬ শতাংশ দাঁড়ায় মাসিক ৭৫৬০ টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক ৯০ হাজারেরও বেশি টাকা কম পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। একজন গ্রুপ সি কর্মীর ২০১৬ সালে প্রাথমিক বেতন ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা, যা ২০২২ এ দাঁড়ায় ২৭ হাজার ১০০ টাকা। একই হিসেবে বছরে প্রায় ১ লক্ষ টাকা কম পাচ্ছেন রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মীরা। আপার ডিভিশন ক্লার্কের ক্ষেত্রে অঙ্কটা বার্ষিক প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের পার্থক্যটা স্পষ্ট।