Skin Care: প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এই পানীয়, ৪০ পেরোলেও ত্বক থাকবে ২০-র মতো
তারকাদের গ্ল্যামারের ভক্ত সকলেই। অমন নিখুঁত, কোমল ত্বক (Skin Care) পাওয়ার মনোবাঞ্ছা কমবেশি সবার মনেই থাকছ। কিন্তু এ বিষয়ে সকলেরই ধারণা রয়েছে, নিখুঁত গ্ল্যামারাস স্কিন পাওয়ার জন্য প্রয়োজন মোটা টাকা। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে দামী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনেই যে শুধুমাত্র ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই জেল্লাদার ত্বক পাওয়া সম্ভব।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। ত্বক জেল্লা হারায়। তবে সঠিক সময়ে সঠিক জিনিস দিয়ে স্কিনের যত্ন নেওয়া শুরু করলে ত্বক থাকবে তারুণ্যের মতোই উজ্জ্বল। এর জন্য সালোঁ ছোটার দরকার নেই, একগাদা টাকা খরচ করারও দরকার নেই। কিছু সামান্য ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই অসামান্য ত্বক পাওয়া সম্ভব। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমন কিছু পানীয়র যা খেলেই বয়সের ছিপ পালাবে দূরে।
বিট এবং কাঠবাদামের পানীয়- এই দুটোই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিট এবং কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই যা ত্বকের এক জরুরি খাদ্য। ভিটামিন ই ত্বকে কোমলতা, ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে।
গাজর এবং আপেলের পানীয়- গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা শরীরের মধ্যে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়ে যায়। ত্বকের জন্য খুবই জরুরি এই ভিটামিন। রোদের থেকে হওয়া ত্বকের ক্ষতি কমায় গাজর। সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আপেল খেতে বলা হয়। কারণ আপেলের মধ্যে থাকা ভিটামিন ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।
আঙুর এবং তরমুজের পানীয়- তরমুজে জলের পরিমাণ অনেক বেশি যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। অন্যদিকে আঙুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা ত্বকের কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
পেঁপে এবং পালং শাকের পানীয়- দুটিতেই রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। পেঁপের উৎসেচক ত্বকের মৃতকোষ দূর করে জেল্লাদার করে। বয়সের দরুণ হওয়া বলিরেখা, কোনো রকম দাগছোপ দূর হয় পেঁপের দৌলতে। পালং শাকও ত্বকের জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ করে।
বেদানা এবং কমলালেবুর পানীয়- বেদানার মধ্যে রয়েছে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই। কমলালেবুর গুণেও ত্বকে প্রাণ ফিরে আসে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।