Skin Care Tips: যেতে হবে না পার্লারে, পুজোর আগে নিজেকে সুন্দর করতে তুলুন সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে
পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। কয়েকটা দিনে নিজেকে যদি সুন্দর করে ফেলতে চান, তাহলে পুজোর আগে মেনে চলুন এই সহজ টিপস। প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার ত্বক সুন্দর হবে। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্য ব্যবহার করুন কাঁচা দুধ। মুখে ভালো করে টোনার ম্যাসাজ করতে হবে। এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন শসার রস, গ্রিন টি অথবা আলুর রস। মুখের কালো দাগ দূর করতে হবে, এর জন্য ব্যবহার করুন আলুর রস, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে। সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সপ্তাহে অন্তত চার দিন ডিটক্স ওয়াটার খেতে হবে। যাতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খেতে হবে। টক দই, পাতিলেবুর রস দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখের উপরে লাগাতে পারেন।
এই কটা দিন মুখ পরিষ্কার করার জন্য কোনো ভাবেই সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। সারা দিনে অন্তত একটি যে কোনো রসালো ফল খেতে পারেন, এটিও শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকবে। লেবুর রসের মধ্যে ভালো করে চিনি গুলে নিন। এরপর খুব ভালো এই বাড়িতেই তৈরি করা ওয়াক্স দিয়ে তার ওপরে টিসু পেপার দিয়ে যেখানে যেখানে মুখের উপরের লোম এর আধিক্য বেশি, সেই জায়গা গুলোকে ভাল করে পরিষ্কার করে ফেলুন।মাঝে মধ্যে মুখে, পিঠে, গলায়, ঘাড়ে এক টুকরো টমেটো নিয়ে ঘষবেন, টমেটোর মধ্যে আছে প্রাকৃতিক অ্যাসিড যা আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। যদি টমেটো দিয়ে না ঘষতে চান, তাহলে পাতিলেবুর মধ্যে বেশ খানিকটা চিনি দিয়ে ঘষে নিন। এটা একই সঙ্গে আপনার ত্বকের ওপরে হওয়া কালো দাগ দূর করবে। আপনাকে অনেক বেশি সুন্দর ও পরিষ্কার করে তুলবে।
পাতিলেবুর রসের মধ্যে এক টেবিল চামচ সাদা টুথপেস্ট দিয়ে খুব ভালো করে ঘষে নিতে পারেন। তাহলেও আপনার কালো জায়গা অনেকটা সাদা হয়ে যাবে। পাতিলেবুর রসের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে আপনি আপনার কালো হয়ে যাওয়া বা ট্যান পড়ে যাওয়া ত্বককে, পরিষ্কার করতে পারেন। আলু ভালো করে দু’টুকরো করে নিয়ে তার মধ্যে একটি কাঁটা চামচ দিয়ে ফুটো ফুটো করে সেই আলু যদি আপনি আপনার মুখে ঘষতে পারেন, তাহলেও কালো দাগ দূর হবে সহজে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাসিমুখে গরম জল পান করতে পারেন। এতেও আপনার ত্বক সুন্দর হবে।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জল খেয়ে আপনি এক গ্লাস গাজর এবং বিটের রস পান করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর হবে।সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তিন-চারটে কারিপাতা চিবিয়ে খান। চুল পড়ার সমস্যা অনেকটা চলে যাবে। প্রতিদিন যে কোন এক্সারসাইজ করুন, নয় হাঁটাহাঁটি নয় যোগাসন কিছু একটা করতে হবে। এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি সুন্দর থাকবে। প্রতিদিন স্নান করার সময় সাবানের পরিবর্তে ব্যবহার করুন বেসন, তাহলে দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়। ভাত ভালো করে চটকে নিয়ে এর মধ্যে কাঁচা দুধ, পাকা পেঁপে দিয়ে খুব ভালো করে একটি ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। ভাতের ফ্যান ফেলে না দিয়ে এটিও মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। চাল ধোয়া জল টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলকে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাঝে মধ্যেই লাগালে ত্বক সুন্দর থাকবে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে গ্রিন টি মিশিয়ে নিন। আর মুখের মধ্যে সারা দিনে অন্তত পাঁচ থেকে ছবার লাগিয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মাখন মিশিয়ে নিতে পারেন। যাদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আছে তারা কিন্তু এটি নিয়মিত ম্যাসাজ করতে পারেন।
যাদের এত কিছু করার সময় নেই, তারা শুধু নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ কর্পূর মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। বাইরের জাঙ্ক ফুড অথবা অতিরিক্ত তেল, মশলা জাতীয় খাবার খেলেও কিন্তু ত্বক খারাপ হতে পারে। সবার শেষে হাসতে থাকুন, সবাইকে ভালবাসুন, ভালো রাখুন। দেখবেন আমার আপনার ত্বক এমনি সুন্দর থাকবে।
ত্বককে দুধের মতন ফর্সা করতে চান, একেবারে দেরি করবে না, বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিসটি আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন ফেয়ারনেস ক্রিম। আর দেরি না করে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন step-by-step। বাড়িতে আমরা চাল দিয়ে ভাত খেয়ে থাকি, এটি বানানোর জন্য আপনাকে চাল নিতে হবে।
চাল ৪ টেবিল-চামচ, এক গ্লাস জল জলের মধ্যে ভালো করে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চালের জলে আর চাল খুব ভালো করে মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর একটি পাতলা সুতির কাপড়ের সাহায্যে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর এর মধ্যে অন্তত ৪ টেবিল-চামচ পুরো ভরে অ্যালোভেরা জেল দিতে হবে। তারপর এর মধ্যে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে দিন।
প্রতিদিন রাতে শোওয়ার সময় মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে এই ক্রিমটি মুখে নাকের পাশে ঠোঁটের দু’পাশে কানের লতিতে এবং গালে বা চোখের নিচে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। পরপর সাত দিন। নিয়মিত করুন, দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে। কোরিয়ান রূপচর্চায় চাল, চালের ভাত নানাভাবে ব্যবহৃত হয়।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।