Winter Special Skin Care: শীতের রুক্ষ শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক ফুটিফাটা? ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে
শীত পড়তে না পড়তেই ত্বকের উপরে বেশ সাদা দাগ ধরতে শুরু করে দিয়েছে? যদিও আপনি হয়তো বডি লোশন কিংবা নাইট ক্রিম বা খুব ঘন ময়েশ্চারাইজার ক্রিম কিনতে দোকানে ছুটে গেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু আপনি কি জানেন বাড়িতে থাকা এক টেবিল চামচ ঘি আপনার জন্য কতখানি উপকারী। তবে কখনোই সেটা কেনা নয়, প্রথমে আপনাকে বাড়িতে ভালো করে ঘি বানিয়ে নিতে হবে। যদি গরুর দুধ পান তো খুবই ভালো, আর যদি না পান তাহলে বাইরে থেকে যে প্যাকেটের দুধ কিনে আনেন, সেই দুধের সর জমিয়ে জমিয়ে তা থেকেই আপনাকে তৈরি করে ফেলতে হবে অসাধারণ ঘি। শীতকালে প্রতিদিন গরম ভাতে ঘি খেতেও পারেন। এর মধ্যে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, এ,কে, ডি। তাই ঘি আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী বিশেষ করলে শীতকালে যাদের রূপ ত্বকের সমস্যায় ভোগেন, তারা প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি ত্বকের উপর লাগাতে পারেন।
১) ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে – এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই ত্বকের সুন্দর নরম রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ঘি ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
২) পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বক ফর্সা করে – ত্বকের ওপরে হওয়া পিগমেন্টেশনের দাগ দূর করে। ত্বকের ফর্সা করতে সাহায্য করে ঘি তাই প্রতিদিন পারলে ঘি ভালো করে ত্বকের উপরে ম্যাসাজ করুন।
৩) ত্বক নরম করতে সাহায্য করে- আপনি যদি প্রতিনিয়ত ঘি এর মাসাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে ভীষণ সুন্দর এবং নরম, ত্বকের ইলাস্টিসিটি অনেকটা বেড়ে যাবে।
৪) ঠোঁট সুন্দর করতে সাহায্য করে – যাদের ঠোঁটের ওপরে অনেকটা খসখস করে এবং ঠোঁট শীতকালীন সহজে ফেটে যায়, তারা কিন্তু ঠোঁটের উপরে সহজেই ঘি দিয়ে মালিশ করতে পারেন।
এবার জেনে নিন কিভাবে ঘি কে ব্যবহার করবেন প্রতিদিনের রূপ চর্চার উপাদান হিসাবে –
১) ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন – এর জন্য আপনাকে নিতে হবে এক টেবিল চামচ ঘি এবং এক টেবিল চামচ বেসন। খুব ভালো করে প্রত্যেকটি উপকরণকে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখের উপরে ভালো করে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। তারপরে অন্তত আধঘন্টা রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন শুষ্ক ত্বক নিমেষের মধ্যে নরম তুলতুলে হয়ে গেছে।
২) ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করুন – ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কি কি ব্যবহার করবেন জানেন? আপনাকে ঘি এর সঙ্গে নিতে হবে সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল। এই জেলকে প্রথমে গরম করে নিতে হবে। তারপর ঘি গলে গেলে তার সঙ্গে এই জেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন মিশ্রণটি খুব ভালো করে ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
৩) হাতের ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করুন – যাদের শুধু মুখ নয় হাত শুষ্ক হয়ে গেছে, স্নান করার পরে হাতে খড়ি ফুটে ওঠে, তারা স্নান করার আগে এক টেবিল চামচ কোরানো নারকেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ঘি ভালো করে মিশিয়ে দুইহাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪) ঠোঁটের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন – ঠোঁট খুব সুন্দর গোলাপি রাখতে ঠোঁটের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এক টেবিল চামচ ঘি। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিকে ঠোঁটের উপরে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। আর ম্যাসাজ করার পরে বেশ অনেকক্ষণ রেখে দিতে হবে। তারপরে হালকা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, তারপর কোনো সুতির কাপড় দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
৫) পুরো শরীরের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন – সারা শরীরে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজন একটি পাকা কলা, দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ভালো ঘি এবং চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচ চিনি আর এক থেকে দুই টেবিল চামচ কফি পাউডার খুব ভালো করে মিশ্রণটাকে মিশিয়ে নিতে হবে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।