Hoop Life

Sandalwood: ফাঁদে পা দিয়ে ঠকবেন না, এই উপায়ে পরখ করে নিন চন্দন কাঠ আসল না নকল

চন্দন কাঠের (Sandalwood) প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে। পুজো পার্বণে চন্দন অপরিহার্য। বিভিন্ন আসবাব তৈরিতে ব্যবহার হয়। চন্দনের মন ভরিয়ে দেওয়া সুগন্ধের জন্য এই কাঠ দিয়ে তৈরি হয় সুগন্ধিও। হিন্দু ধর্ম এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে চন্দনের অনেক উপকারিতা বর্ণনা করা রয়েছে। পাশাপাশি চন্দন রূপচর্চার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে। উল্লেখ্য, সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে চন্দন কাঠ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতের চন্দনের রঙ যেমন আলাদা আলাদা হয় তেমনি গুণের দিক দিয়েও রয়েছে ভিন্নতা।

তবে বিশ্বে সবথেকে বেশি চন্দন কাঠ সরবরাহ করে ভারত। মূলত দুই ধরণের চন্দন রয়েছে, শ্বেত চন্দন এবং রক্ত চন্দন। বিভিন্ন পুজো পার্বণে এই দুই ধরণের চন্দনই ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চন্দন কাঠে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা শরীরে নানান রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে চন্দন কাঠ যেহেতু অনেক দামী তাই অনেক সময়ই প্রতারকরা নকল চন্দন কাঠের (Fake Sandalwood) ব্যবসা করে ক্রেতাদের বোকা বানায়। তখন আসল চন্দনও হাতে আসে না, আবার টাকাটাও জলে চলে যায়।

খালি চোখে দেখে আসল এবং নকল চন্দন কাঠের মধ্যে ফারাক করতে পারা কঠিন। তাহলে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচবেন কী করে? জানিয়ে রাখি, কিছু সহজ উপায়ে আসল এবং নকল চন্দন কাঠের মধ্যে ফারাক বোঝা যায়। চন্দন কাঠের উপরে একটি ছুরি দিয়ে আঁচড়িয়ে দেখুন। যদি নরম স্তর তৈরি হয় তাহলে আসল চন্দন কাঠ।

আসল চন্দন চেনার অন্যতম উপায় হল এর গন্ধ। চন্দন কাঠ যদি আসল হয়, তাহলে হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতে সুগন্ধ ভরে যাবে। আশপাশও সুগন্ধিত হয়ে যাবে। এছাড়াও আরো একটি উপায়ে আসল চন্দন কাঠ চেনা যায়। আসল চন্দন কাঠ ভারী হয়। হলুদ রঙের এবং হালকা খসখসে হয়ে থাকে। এটাই আসল চন্দন কাঠের পরিচয়।

Related Articles