whatsapp channel

সোয়েটার-জ্যাকেট কিনতে না কিনতেই ফ্যাকাশে! এইভাবে নিন যত্ন, থাকবে নতুনের মতো

শীত পড়ে গিয়েছে। উত্তুরে হাওয়াকে সঙ্গী করে ভোরের কুয়াশা চাদর বিছিয়ে দিতে শুরু করেছে শহরের উপরে। আলমারিতে যত্ন করে তুলে রাখা লেপ কম্বলের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে সোয়েটার (Sweater), হুডি,…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

শীত পড়ে গিয়েছে। উত্তুরে হাওয়াকে সঙ্গী করে ভোরের কুয়াশা চাদর বিছিয়ে দিতে শুরু করেছে শহরের উপরে। আলমারিতে যত্ন করে তুলে রাখা লেপ কম্বলের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে সোয়েটার (Sweater), হুডি, জ্যাকেট, মাফলারও। কিন্তু শীতের পোশাক (Winter Wear) বছরের শুধু নির্দিষ্ট একটি সময় ব্যবহার হওয়া ছাড়া বাকি সময়টা আলমারিতে বন্দি হয়েই থাকে। দরকার না পড়ায় বেরও করা হয় না। এর ফলে পোশাক গুলি মাত্র কয়েক বার ব্যবহার হতে না হতেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

উপরন্তু ব্যবহার কম হওয়ায় অন্যান্য পোশাকের তুলনায় শীতের পোশাক কম কাচাও হয়। কিন্তু উলের সোয়েটার, মাফলার কয়েক বার মাত্র কাচার পরেই রঙ উঠতে শুরু করে। আগের সেই জৌলুস হারিয়ে যায়। এদিকে বছর বছর নতুন শীতের পোশাক কেনাও সম্ভব নয়। যে হারে সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে এতে একটা জ্যাকেট বা সোয়েটার কিনতে গেলেও বেশ ভালো রকম টাকা খরচ হয়। তাহলে কী করণীয়?

সোয়েটার-জ্যাকেট কিনতে না কিনতেই ফ্যাকাশে! এইভাবে নিন যত্ন, থাকবে নতুনের মতো

শীতের পোশাক নতুনের মতো রাখতে হলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আর বারবার নতুন শীত পোশাকও কিনতে লাগবে না, আবার বাড়িতে কেচেই রঙ থাকবে নতুনের মতো। কেনার সময়ে মান বুঝে কিনতে হবে। কম দামের হুডি, সোয়েটারের মান তেমন ভালো না হওয়ায় সাধারণত রঙও তাড়াতাড়ি উঠে যায়। শীতের পোশাক বেশি না কাচলেও চলে। শীতে এমনিতেই ঘাম হয় না। উপরন্তু সোয়েটার, পুলওভারে ঘামও তেমন লাগে না। তাই এগুলো কম কাচলেই ভালো।

কাচার সময়ে কড়া ডিটারজেন্ট যাতে ব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখলে ভালো। এতে রঙ দ্রুত ওঠে। উলের পোশাক বেশিক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত নয়। কাচা হয়ে গেলেই দ্রুত শুকানোর জন্য মেলে দেওয়া উচিত। সরাসরি রোদে শুকোতে দেওয়ার বদলে একটু ছায়া দেখে সোয়েটার, জ্যাকেট গুলো শুকোতে দিলে ফ্যাকাশে ভাব আসে না। এই কয়েকটি সাধারণ সহজ নিয়ম মেনে চললেই শীতের পোশাক আর ফ্যাকাশে হবে না। রঙ নতুনের মতোই থাকবে।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই