ক্যাপসিকামের (Capsicum) মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। শীতকালে (Winter) নিত্য দিনের রান্নায় অনেকেই এই সবজি পছন্দ করে থাকেন। তবে অনেক সময়ই বাজারে ক্যাপসিকামের দাম বেড়ে যায়। যথেষ্ট পরিমাণে ফলন না হওয়ায় বা অন্য কোনো কারণে ক্যাপসিকামের যোগানে সমস্যা দেখা দিলেই হু হু করে বাড়তে থাকে দাম। তাই সেক্ষেত্রে যদি ক্যাপসিকামের যোগান (Capsicum Farming) বাড়ি থেকেই দেওয়া যায় তাহলে বাস্তবিকই ভালো হবে।
নিজের বাড়িতেই সহজ পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চাষ করলে ফলনও যেমন ভালো হবে, তেমনি গোটা পদ্ধতিটাই হবে কীবোর্ড সহজে। ক্যাপসিকামের চাষ করে বাড়িতে বসেই একটা মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করা যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে সহজে বাড়িতে ক্যাপসিকামের চাষ করা যায়, জানার জন্য প্রতিবেদনটি পুরোটা অবশ্যই পড়ুন।
অনেকেই বলেন, ক্যাপসিকাম চাষের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে ভাদ্র মাস এবং মাঘ মাসে ক্যাপসিকামের ফলন ভালো হয়। বাড়িতে ক্যাপসিকামের ভালো ফলন পেতে হলে প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হল, নার্সারি থেকে ভালো বীজ সংগ্রহ করে আনতে হবে তারপর সেগুলি গোটা রাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেলে এবং দোআঁশ মাটিতে ক্যাপসিকাম সবথেকে ভালো হয়। তাই চাষের আগে ভালো মাটি তৈরি হওয়া দরকারী। প্রথমে মাটি ভারো ভাবে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে, যাতে মাটিতে কোনো ঢেলা না থাকে।
এরপরে ঝুরঝুরে মাটির সঙ্গে বেশ ভালো ভাবে গোবর সার মিশিয়ে নিতে হবে। নয়তো ক্যাপসিকামের ফলন ভালো হবে না। এরপরে সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখা বীজগুলি পুঁতে দিতে হবে তৈরি করা মাটিতে। ক্যাপসিকাম গাছ একটু বড় হতে শুরু করলেই পোকামাকড়ের আক্রমণ শুরু হয়। তাই মাঝে মাঝে গাছের পাহাড় সাবান গুঁড়ো ছিটিয়ে দিলে ভালো। গাছ সহজেই ফলের ভারে ঝুঁকে পড়তে পারে। তাই ক্যাপসিকাম গাছ একটু বড় হলেই ঠেকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি। ক্যাপসিকাম গাছ বড় হলে দু চার মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।