বাঙালির প্রিয় খাবার গুলির তালিকায় লুচি (Luchi) থাকবে না তা কি হয়? লুচির সঙ্গে ছোলার ডাল বা বেগুন ভাজা, এমনকি মাংসের ঝোল বা পায়েসে ডুবিয়ে খেতেও যেন অমৃতর মতো লাগে। বাড়িতে নিজেরা লুচি ভেজে খাওয়া বা অতিথি আপ্যায়নে লুচির কদর চিরদিনের। এমনকি নানান উৎসব পার্বণ, উপোসের দিনেও ফরমাস হয় লুচি ভাজার। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালি লুচি দেখলেই নাক সিঁটকাচ্ছে। অতিরিক্ত তেল ছাড়া কীভাবে লুচি ভাজা যায়, তাও আবার ফুলকো সেটা ভেবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে? এই প্রতিবেদনেই রইল এমন টিপস যাতে কম তেলেই দিব্যি ফুলকো হবে লুচি।
অনেকে লুচি ভেজে টিস্যু পেপার দিয়ে তেল কমানোর চেষ্টা করেন। টিস্যু পেপার তেল কিছুটা শুষে নেয় ঠিকই, কিন্তু বিশেষ লাভ হয় না। তাই ভাজার সময় তেল না কমিয়ে ময়দা মাখার সময় থেকেই বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। ময়দা মাখার সময়ে খেয়াল রাখবেন যাতে বেশি নরম না মাখা হয়। কারণ ময়দা নরম মাখা হলে লুচিতে তেল বেশি টানে। তাই একটু শক্ত করে ময়দা মাখলে তেলও কম লাগবে ভাজার সময় আবার লুচি ফুলবেও।
সময় বাঁচানোর জন্য অনেকেই আগে থেকে ময়দা মেখে রেখে দেন। সকালে বা আগের দিন রাতে ময়দা মেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। পরে লেচি করে বেলে লুচি ভাজেন। কিন্তু এতে তেল লাগে বেশি। ময়দা মেখেই সঙ্গে সঙ্গে লুচি ভাজলে লুচির গায়ে কম তেল লেগে থাকে।
লুচি ভাজার সময়ে রিফাইন বা সাদা তেল অথবা সয়াবিন তেল ব্যবহার করা সবথেকে ভালো। তেল আগে গরম হতে দিন। ফুটন্ত তেলে লুচি ছাড়লে লুচির গায়ে কম তেল লেগে থাকে। আরো একটি টিপস থাকল। লুচি ভাজার সময়ে পাত্রের তেলে সামান্য নুন দিতে পারেন। এতে লুচির গায়ে কম তেল লাগে, কম তেল শোষণ হয়। তবে নুনের পরিমাণ রাখুন সামান্য।