Skin Care: নামিদামি ট্রিটমেন্ট আর নয়, বগলের কালো দাগ দূর করুন সম্পূর্ণ ঘরোয়া টোটকায়
বগল বা আন্ডার আর্মসের কালো দাগ অনেক সময় আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে থাকা কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান দিয়েই দূর করতে পারেন। কালো দাগ দেরি না করে আমাদের Hoophaap পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন কি কি উপাদান যা দিয়ে আপনি চটজলদি কালো দাগ দূর করতে পারবেন।
তবে প্রতিদিন যে কাজটি অবশ্যই করবেন সেটি হল বাইরে থেকে ফিরে এসে রাত্রে শুতে যাওয়ার সময় এক বাটি গরম জল করে তার মধ্যে বেশ কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ফেলে দেবেন এবং লেবুর রস ফেলে দেবেন, এরপরে একটি পাতলা কাপড়ে করে পরিষ্কার করে নিন আপনার আন্ডার আর্মস। এটি যদি প্রতিদিন করতে পারেন তাহলে দেখবেন দুর্গন্ধের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন, এছাড়া কালো দাগ সহজেই চলে যাবে।
১) পাতিলেবু ও চিনি – প্রতিদিন স্নানের আগে এক টুকরো লেবু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে যদি কালো দাগের ওপরে ভালো করে ঘসা যায়, তাহলে সহজেই কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। লেবু ত্বক পরিষ্কার করে। তাই কালো দাগ পরিষ্কার করতে অবশ্যই ব্যবহার করুন।
২) কফি পাউডার, কাঁচা দুধ- প্রতিদিন স্নানের আগে এক টেবিল-চামচ কফি পাউডার, কাঁচা দুধ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কালো দাগের ওপর লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন কালো দাগ অনেকটা সাদাটে হয়ে গেছে।
৩) অ্যালোভেরা জেল, ভিটামিন ই অয়েল প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় এক টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে একটি ভিটামিন ই ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি যদি আন্ডার আর্মসে বা বগলে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালবেলা উঠে দেখবেন কালো দাগ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
৪) পাতিলেবুর রস, টুথপেস্ট, বেকিং সোডা, মধু – কালো দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সাদা টুথপেস্ট সামান্য, এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কালো দাগের উপর ঘষে ঘষে অন্তত লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, একবার ব্যবহার করার পরেই।
৫) পাতিলেবুর রস, বেকিং সোডা, চিনি – কালো দাগ দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কালো দাগের উপর ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন এবং সাত দিন পর পর করলেই দেখবেন, কালো দাগ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।