Business Idea: এই ব্যবসা শুরু করতে পারলেই রোজগার হবে কোটি কোটি টাকা, অনেকেই জানেন না এই বিষয়ে
ভারতের নাগরিকদের মধ্যে দিনের পর দিন ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। দেশে চাকরির দুরবস্থা থেকেই মানুষের মনে বিগত দশকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে দেখা গেছে এক সমীক্ষায়। কিন্তু ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। কারণ ব্যবসা করার কথা ভেবে নেওয়া যায় অনায়াসে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আজকালকার দিনে ইউরোপের সংস্কৃতি অনুযায়ী ভারতেও বাড়ছে ন্যাপকিন বা টিস্যু পেপারের চাহিদা। আজকের যেমন গৃহস্থালিতেও ব্যবহার হয় টিস্যু পেপার, সেভাবে হোটেল বা রেস্তোরাঁতেও এর ব্যবহার হয় অনেকাংশে। এছাড়াও ভিনদেশী কালচারে বসবাসকারী অনেকেই আজকাল টয়লেটেও টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তাই স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে রি জিনিসটির চাহিদা কিন্তু বাড়ছে দিন দিন। তেই এই ন্যাপকিন বা টিস্যু পেপারের ব্যবসা আজকালকার দিনে একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে।
এই ব্যবসা শুরুর জন্য আপনাকে একটি ২০০-৩০০ বর্গফুটের জায়গা প্রয়োজন। এই জায়গার মধ্যে তিনটি সেকশন করতে হবে। একটি সেকশনে থাকবে টিস্যু তৈরির মেশিন। অন্য দুটি সেকশনের একটিতে কাঁচামাল এবং একটিতে উৎপাদিত টিস্যু রাখতে হবে। এবার এই মেশিনটি আপনি কিনতে পারবেন মাত্র ৫ লক্ষ টাকাতেই। তবে সেক্ষেত্রে টিস্যু উৎপাদনের জন্য আপনাকে কমপক্ষে তিনজন শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে অটোমেটিক মেশিন কিনে কাজটি নিজেই করতে পারবেন। তবে এই অটোমেটিক মেশিনের দাম পড়বে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো।
এবার আসি খরচ ও লাভের কথায়। আপনি যদি একবার লোন নিয়েও অটোমেটিক মেশিনটি কিনে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে যাবে প্রতিমাসে। এই অটোমেটিক মেশিন থেকে আপনি ঘন্টায় ১০০-৫০০ টি ন্যাপকিন তৈরি করতে পারবেন। সেই হিসেবে বছরে আপনি দেড় লক্ষ কিলোগ্রাম টিস্যু তৈরি করতে পারবেন। এবার বাজারে কেজিপ্রতি এই টিস্যুর দাম ৬০-৭০ টাকা হয়। ভালো মানের টিস্যুর ক্ষেত্রে এই দাম আরো বেশি হয়। তাই এক্ষেত্রে আয়নার বার্ষিক রোজগার কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট বিক্রির জায়গা খুঁজে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।