বাংলা ধারাবাহিকের জগতে তিনি পরিচিত ‘কৃষ্ণকলি’ হিসেবে। বাঙালি দর্শককূল তাকে আটপৌরে করে শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে শ্যামলবর্ণা শ্যামা হিসেবেই মনে রেখেছে। দৃশ্যের মাঝে তার তার সরল অভিনয় মন জয় করেছিল বাঙালি মহিলামহলের। তিয়াসা লেপচার (Tiyasha Lepcha) কথা হচ্ছে। বাস্তব জীবনে রায় পদবি থেকে আবার লেপচা পদবিতে ফিরেছেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে সুবান রায়ের সঙ্গে। কিন্তু এবার পিতৃপ্রদত্ত পদবিতে ফিরে আসার যে যাত্রাপথ, সেটা কতটা বন্ধুর ছিল পর্দার শ্যামার কাছে? সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে কতটা নিজের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল তাকে? দেখুন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের এই ব্যক্তিগত অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই। তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সবটুকু। অভিনেত্রী এই সাক্ষাৎকারে জানান যে প্রশংসার পাশাপাশি নানা সময় নানাভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। বাদ যায়নি আত্মীয়স্বজনরাও। তারা নাকি একটা সময় তার দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন যে তার অহংকার নাকি বেড়ে গিয়েছে ভীষণভাবে। খ্যাতি পেয়ে যেন মাটিতে পা পড়ত না তার, এমনটাই তির ছুঁড়তেন কাছের মানুষরাও। আর এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন যে শিল্পী হলেও তারা মানুষ এবং তাদের একটা জীবন রয়েছে।
এছাড়াও স্বামী সুবান রায়ের সঙ্গে ডিভোর্সের পরেও নাকি তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। ভেতর ভেতর ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কারণ অনেকেই নাকি তখন তাকে বলেছিলেন যে স্বামীর হাত ধরে অভিনয়ে এসে সফল হয়েই তার হাতটা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী জানান যে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রাক্তন স্বামীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তবে এই সিদ্ধান্ত তারা দুজনেই নাকি উভয়সম্মতিতেই নিয়েছেন। এছাড়াও সেই বিচ্ছেদের সময় নাকি প্রবল মনোকষ্টে ছিলেন অভিনেত্রী। খাওয়া, ঘুম, সবই নাকি উবে গিয়েছিল তার থেকে। মাঝে মাঝে নাকি মোড়ে যাওয়ার চিন্তাও ছুঁয়ে গেছে তার মনকে।
তবে সেই পর্যায় পেরিয়ে নিজেকে অনেকটাই সামলেছেন তিনি। আবার পূর্বপরিচয়ে ফিরেছেন। শুরু করেছেন কাজও। বর্তমানে ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকে ইন্দিরা সরকার নামে এক শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। পর্দায় আবার ফিরেছে নস্টালজিক নীল-তিয়াসা জুটি।
View this post on Instagram