Pension: এই ৫ পেনশন প্রকল্পে মিলছে দুর্দান্ত রিটার্ন, বাড়তি পাওনা হিসেবে পাওয়া যাবে আয়কর ছাড়
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনাকে পেনশন যোজনা বলা হয়। তবে এখন পেনশন ছাড়াও অনেক ধরণের নাগরিক অনেক ধরণের ভাতা পেয়ে থাকেন সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু বার্ধক্যকালীন সময়ে অনেকেই আবার এসব সুবিধা পান না।
তবে এর জন্য কর্মকালীন জীবনে কিছু করা টাকা সঞ্চয় করলেই কিন্তু ভাবতে হবেনা অবসর জীবনের বিষয়ে। কারণ এখন বাজারে উপলব্ধ রয়েছে একাধিক পেনশন স্কিম। সরকারি পেনশন সিস্টেমের পাশাপাশি এই ধরণের পেনশন স্কিমগুলি খুবই লাভজনক হয়ে থাকে। এই নিবন্ধে সন্ধান রইল এমনই কিছু পেনশন স্কিম সম্পর্কে, যা থেকে আয়কর ছাড়ের সুবিধাও মিলবে।
● ন্যাশনাল পেনশন স্কিম: এটি কেন্দ্র সরকারের একটি পেনশন প্রকল্প। ১৮-৭০ বছর বয়সী যে কোনও ভারতীয় নাগরিক এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টে অবসরের পর আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
● অটল পেনশন যোজনা: কেন্দ্র সরকারের এই পেনশন প্রকল্পে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা অবধি পেনশন পাওয়া যায়। এই সুবিধা পাবেন ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ভারতীয় নাগরিকরা। এই স্কিমে ৫ ধরনের প্ল্যান পাওয়া যায়। সেগুলি হল ১০০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ৩০০০ টাকা, ৪০০০ টাকা এবং ৫০০০ টাকা।
● সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম: স্বল্প সঞ্চয়ের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সরকারি প্রকল্প। এই প্রকল্পে বছরে ৮.২ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে খুব সহজে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে বিনিয়োগ করা যায় এই প্রকল্পে।
● ট্যাক্স সেভার ফিক্সড ডিপোজিট: পোস্ট অফিস ও নানা ব্যাঙ্কে ট্যাক্স সেভার ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে ভালো সুবিধা পাওয়া যায়। ইউ/এস ৮০সি-এর মাধ্যমে এই স্কিমে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। সাধারণ ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে এই স্কিমে সুদের হারের চেয়ে অন্তত ০.২৫% থেকে ০.৭৫% বেশি পাওয়া যায়।
● প্রধানমন্ত্রী বয়োবন্দনা যোজনা: এটি LIC-র একটি পেনশন প্রকল্প। এই প্রকল্পে ১০ বছর অবধি পেনশন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মাসিক ১০০০ টাকা, ষাণ্মাসিক ৩০০০ টাকা, ছয় মাসের ৬০০০ টাকা এবং এক বছরের জন্য ১২০০০ টাকা অবধি পেনশন পাওয়া যায়।