গতকাল মধ্যরাতে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে নিজের প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী গতকাল রাত একটা নাগাদ তিনি পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি সুস্থ স্বাভাবিকই ছিলেন। তার পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধু মহল কেউই বুঝতে পারেননি তাঁর এরকম পরিণতি হবে।
তিনি ৯০ দশকের কালজয়ী অভিনেতা ছিলেন। একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমায় তাকে প্রায়ই খলনায়ক হতে দেখা যেত। বর্তমানে তিনি মোহর এবং খড়কুটো নামে দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। খড়কুটো ধারাবাহিকে গুনগুনের বাবা ডঃ কৌশিক হিসেবে তিনি দর্শকদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। তার এই আকস্মিক প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন সকল দর্শক।
মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই এই প্রতিভাবান কিংবদন্তি শিল্পী ঘুমের দেশে চলে গেলেন। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব এবং টলিউডে তার সতীর্থরা। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। শুধু বিগত তিন চারদিন ধরে তার পেটের কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন হলো যে এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গেল? সূত্রের খবর বুধবার সকালে একটি জনপ্রিয় চ্যানেলের রিয্যালিটি শোর শুটিং সারেন তিনি। সেখানে শুটিং এর মাঝেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি বাড়িতেই থাকতে চান। বুধবার মধ্যরাত্রে সম্ভবত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে তার মৃত্যু ঘটে।
অভিনয়ের সঙ্গে মিশে থাকতেন তিনি। যেখানে যেটুকু সুযোগ পেতেন সেখানেই তিনি নিজের সেরা দিয়ে অভিনয় করতেন। ক্যামেরায় ছিল তার কাছে ঈশ্বর এবং শুটিং ফ্লোর ছিল তার কাছের মন্দির। আর মন্দিরেই শেষ অর্চনা দিয়ে তার দেহত্যাগ হয়।