whatsapp channel

করোনা আবহে অদ্ভুত মাস্কে মুখ ঢাকলেন জনপ্রিয় অভিনেতা, কে ইনি!

মুখে মাস্ক, চোখে চশমা, চেনার উপায় আছে কে ইনি! করোনার সময় শুধুমাত্র নাক মুখ ঢেকে রাখলেই যথেষ্ট। কিন্তু ইনি গোটা মুখ ঢেকে রেখেছেন আবার সেলফি তুলে পোস্ট পর্যন্ত করেছেন। কখনো…

Avatar

HoopHaap Digital Media

মুখে মাস্ক, চোখে চশমা, চেনার উপায় আছে কে ইনি! করোনার সময় শুধুমাত্র নাক মুখ ঢেকে রাখলেই যথেষ্ট। কিন্তু ইনি গোটা মুখ ঢেকে রেখেছেন আবার সেলফি তুলে পোস্ট পর্যন্ত করেছেন। কখনো ভল্লুক তো কখনো তিমি মাছের মুখ নিয়ে দুমদাম রাস্তায় বেড়িয়ে পরেন। এখনও বুঝতে পারলেন না কে ইনি!

একটা সময়ে মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন ছিলেন অভিনেতা। আর সেই নেশার জন্য বহুভাবে অসম্মানিত, অপমানিত হতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর বাবাকে। নেশা ছাড়াতে ৩০ বার রিহ্যাবে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যখন তিনি একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন তখন থেকে নেশা তার জীবনে আসে। অল্প সময়ের মধ্যে মাদকের আসক্তি এতটাই বেড়ে যায় যে তাকে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার আগেই দু’বার রিহ্যাব যেতে হয়।

একটা সময় তার বাড়ির প্রায় সব কিছু চুরি করে বিক্রি
করে দিয়েছিলেন৷ ফলে প্রতিদিন নেশার ২০০ -২৫০ টাকার খরচ জোগার করতে তাকে রাস্তায় নামতে হয় চুরি , পকেটমারি করার জন্য৷ জেল যাত্রা তার প্রায় নিয়মিত হয়ে পরে৷ কলকাতা পুলিশ -সহ একাধিক জায়গায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটতে হয়েছে৷ দেশের দিকে রিহ্যাবগুলোতে গিয়েও কোনও কাজ হচ্ছিল না। একটা সময় ইনজেকশনে করে হেরোইন পর্যন্ত নিতেন। শারীরিক অবস্থা যা হয়েছিল , তাতে ওই সময় তিনি যদি ঘুরে না দাঁড়াতেন তবে হয়তো তিনি কয়েক মাস মাত্র বাঁচতেন।

এখন তাকে দেখা যায় টলি পাড়ায়। বেলা শেষে হোক বা বেলা শুরু দুই সিনেমাতেই তিনি বিদ্যমান। আসলে কথা হচ্ছে অনিন্দ্য চ্যাটার্জি প্রসঙ্গে। এখন তিনি সম্পূর্ণ নেশা মুক্ত। বাংলা সিনে জগতে এবং ওয়েব সিরিজে তার এখন প্রায় নিত্য যাতায়াত। সম্প্রতি ফিটনেসের জন্য নিয়মিত সাইকেল চালান শহর জুড়ে। পার্টনার তার পর্দার মথুর বাবু। ভোর বেলা হোক বা বেলার শেষের সময় দুই বন্ধু মিলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media