‘শ্রীময়ী’ চরিত্রে অনেক স্তর। সেই প্রত্যেকটা স্তর পরিপাটি করে শিল্পের রং দিয়ে যাচ্ছেন ইন্দ্রানী। যার জোরে সে এত জনপ্রিয়। নাহ, এই জনপ্রিয়তা তার কাছে নতুন নয়। যখন সাদা কালো পর্দা ছিল তখনও ইন্দ্রানী সমান জনপ্রিয়। তবে ছোট পর্দা মারফৎ দর্শকদের ড্রয়িং রুমে নিয়মিত প্রবেশ করে চলেছেন তিনি, ফলে পরিচিতি হোক বা জনপ্রিয়তা তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জীবনের অনেকগুলি বসন্ত পার করে ফেলেছেন ইন্দ্রাণী। এই বছর তিনি ৫০ এ পা ফেলেছেন, কিন্তু কোথাও গিয়ে বার্ধক্যের ছায়া নেই। দূরদর্শনের মহালয়াতে মহিষাসুরমর্দিনী করে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মন জয় করেছিলেন সেরকম আজও তাঁর মায়াবী চোখ আর নৃত্য শৈলী দর্শকদের টানে। কখনো তিনি ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ দিয়ে কখনো ‘সীমা-রেখা’ দিয়ে মন জয় করেছেন। বর্তমানে ‘শ্রীময়ী’ হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন খুব বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি।
জন্মদিন প্রসঙ্গে কথা যদি আরো একবার কথা হয়, তাহলে অভিনেত্রী নিজে তার জন্মদিন একদম অন্যভাবে পালন করেন।প্রায় প্রতি বছর নিজের জন্মদিনের দিন ইন্দ্রাণী হয় বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে আনন্দে মেতে থাকেন নয়তো এইচআইভি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন। অবশ্য তাঁর জন্মদিনের দিন একটা আক্ষেপ নাকি আজও আছে, আর তা হল বাবার থেকে টেডি না পাওয়ার যন্ত্রণা। একবার এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রাণী হালদার বলেছিলেন “আমি খুব ভালবাসি টেডিবিয়ার”। শুধু টেডি নয়, তিনি তাঁর মায়ের হাতে বানানো পোলাও খেতেও খুব পছন্দ করেন।
মা প্রসঙ্গে বলতে গেলে এরইমধ্যে ছিল ইন্দ্রানী হালদারের মায়ের জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যেমন তেমন ইয়াম্মি চকলেট কেক মাকে দিয়ে কাটিয়ে ঘরোয়া ছিমছাম পরিবেশে মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার।