Summer Vacation Travel: তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বাংলার মানুষরা ভিড় জমাচ্ছেন এই স্থানে, ঘুরে আসতেই পারেন
দক্ষিণবঙ্গে যে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম পড়েছে, সেই গরমের হাত থেকে বাঁচতে ভোটের ফলাফল পর্ব মিটে যেতেই দার্জিলিং এ পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। থিকথিকে লোকে উপচে পড়ছে, ম্যাল থেকে চিড়িয়াখানায়। যাকে বলে, একেবারে তিল ধারণের জায়গা নেই। মিরিক, ঘুম, বাতাসিয়া লুপ, জাপানি মন্দির সব চত্বরে লোকে লোকারণ্য। দার্জিলিং এ যদিও ঝেঁপে বৃষ্টি পড়ছে, কিন্তু মানুষের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজেই প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতে চলে গেছেন পরিবারকে সাথে নিয়ে।
জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ শে জুন পর্যন্ত পাহাড়ে যত হোটেল, হোমস্টে রয়েছে। সমস্ত বুক করা তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, যে মানুষ পাহাড়কে ঠিক কতটা ভালবাসেন। আসলে ব্যাপারটা সেটা নয়, দক্ষিণবঙ্গে এক ফোঁটাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি না হওয়ার জন্য যে ভ্যাপসা গরম দেখা দিয়েছে, সেই গরম থেকে বাঁচতে মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন পাহাড়ের বুকে। জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ পর্যটকের আগমন হয়েছে কলকাতা আর বাংলাদেশ থেকে।
তথ্যসূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবারের পর ভিড় আরো বেড়েছে, দক্ষিণবঙ্গে গরম যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে দার্জিলিঙে পর্যটকের সংখ্যা ততই বাড়ছে। পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে, যে কোথাও একটু ফাঁকা জায়গা নেই চারিদিকে। সকাল থেকেই মেলের রাস্তা একেবারে গমগম করছে, খাবার দোকানগুলোতে বসার জায়গাও পাওয়া যাচ্ছে না, তবে শুধু দার্জিলিং নয়, আর সেই পাশের কালিম্পং, লাভা এছাড়াও কিছু কিছু অফবিট ডেসটিনেশন সেখানেও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। তবে দুটি জায়গা যেখানে খুব ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, যেমন সান্দাকফু আর ফালুট, সেখানে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কম।
অনেক সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা
সম্প্রতি আরো একটা অসাধারণ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সেখানকার টাইগার হিলে দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। যার ফলে পর্যটকদের সমাগম আরো বেশি করে হচ্ছে যার জেরে দার্জিলিং শহরের যানজটের সমস্যাও অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। রাস্তা জুড়ে শুধু গাড়ি আর গাড়ি, অনেক হ্যাপা সামলাতে হচ্ছে পর্যটকদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও গরম থেকে বাঁচতে এমন ঠান্ডা মনোরম পরিবেশে পর্যটকরা গিয়ে বেশ মজাই করছেন।