প্রাচীন হিন্দু ধর্মে আরাধনা হয় ত্রিদেবীর, এই তিন দেবীর আশীর্বাদে জীবন হয়ে ওঠে শুভময়
হিন্দু ধর্মের ত্রিমূর্তির নারীর অবদান স্বরূপ তিন জন প্রভাবশালী দেবী পূজিত হন। শাক্তধর্ম অনুযায়ী, এই ত্রিমূর্তি হলেন সর্বোচ্চ দেবী। এই ত্রিমূর্তিরা হলেন সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং স্বয়ং পার্বতী।
শাক্তধর্মের এই তিনজন দেবী সরস্বতী হলেন সৃষ্টিকর্তা, লক্ষ্মী হলেন পালনকর্তা, মহাকালী হলেন সংহারকর্তা। এরা তিনজন প্রধান দেবী রূপে বিবেচিত হন। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার স্ত্রী হলেন সরস্বতী। যিনি বিদ্যা, শিল্প ও কৃষ্টি সংস্কৃতির দেবী। নারায়ণের স্ত্রী হলেন দেবী লক্ষ্মী। আর সংহারক শিবের পত্নী হলেন পার্বতী যিনি শক্তি, প্রেম, অসুর বিজয়, প্রলয় এবং আধ্যাত্মের দেবী।
যেহেতু বিষ্ণু বিশ্বের পালন করেন তাই প্রচুর রসদের দরকার হয়, তাই তার লক্ষ্মীকে প্রয়োজন। তেমনি ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির জন্য ব্রহ্মার দরকার হয় জ্ঞানের। যা সরস্বতী দান করে। মৃত্যু এবং সংহারকে ডেকে আনতে শংকর এর প্রয়োজন হয় ক্ষমতার। যা তিনি পান তার স্ত্রী মহামায়া পার্বতীর কাছ থেকে।
এই তিন মূর্তি শুধুমাত্র এই দেশেই নয়, জাপানি শিন্ত দেব দেবীর সাথে বৌদ্ধ ধর্ম ও শিনবুতসু ধর্মের মিলনে জাপানি পুরাণে এই ত্রিদেবীর প্রবেশ ঘটে।