Trina Saha: ‘এত তোতলা হলে কি করে সিনেমায় নায়িকার অভিনয় করবেন?’ যোগ্য জবাব তৃণার
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের এক মাস সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। কিন্তু এখনো যেন তাকে নিয়ে আলোচনা থামেনা। তার মৃত্যুর পর তিনি যেন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। বাংলা সিরিয়াল মানেই বিনোদনের আসর। দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে আমরা এখন সিরিয়ালকেই নিজেদের বিনোদনের রসদ হিসেবে খুঁজে নিয়েছি। সন্ধ্যাবেলা হলেই চা মুড়ি নিয়ে আমরা বসে পড়ি টিভির সামনে। তবে খড়কুটো দেখতে হলে চা মুড়ি নয় অন্য কিছুর দরকার হয় এখন সাধারণ দর্শকদের। দুপুরবেলা আলস্যের সাথে ভাত খেতে খেতে মুখার্জী পরিবারের নানা আনন্দ সমস্যায় এই কদিন ধরে মেতে রয়েছেন দর্শক।
হাসি-কান্না-রাগ-অভিমান এইসবের মিশেলে অনন্য ধারাবাহিক খড়কুটো। খড়কুটোর প্রাণ ছিলেন ডঃ কৌশিক। গুনগুনের ড্যাডি চরিত্রটিকে দর্শকরা প্রচুর ভালোবাসা দিয়েছেন। তাই অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মারা যেতে দর্শকরা তার অনুপস্থিতি রন্ধে রন্ধে অনুভব করছেন। সিরিয়ালটির চিত্রনাট্য অনুযায়ী এখন সাজির ঘোর দুঃসময়। এই সময় গুনগুনের ড্যাডির উপস্থিতি অনেকটাই দরকার ছিল। এমনটাই মনে করছেন দর্শকেরা।
গোটা সিরিয়ালে আমরা তৃণা সাহাকে অনেক সময় দেখেছি তুতলে তুতলে কথা বলতে। অধিকাংশ মানুষ ভাবেন যে এটা বোধহয় তৃণা সাহার জন্মগত রোগ। তারা এই নিয়ে তৃণাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। নেটিজেনদের মতে তিনি যদি এরকম তোতলান তাহলে কি করে পরপর দুটি সিনেমায় নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবেন? কিন্তু এবার একটা সাক্ষাৎকারে সত্যি স্বীকার করে ফেললেন গুনগুন অর্থাৎ তৃণা সাহা।
গুনগুন অর্থাৎ তৃণা জানালেন, তিনি আসলে তোতলা নন। যদি খড়কুটো সিরিয়াল মন দিয়ে দেখে থাকলে তাহলে দেখব গুনগুনের ড্যাডি মাঝে মাঝে একটু তুতলে কথা বলতেন। তাই তাকে যাতে ড্যাডির মেয়ে লাগে সেইজন্য তিনিও মাঝে মাঝে তুতলে কথা বলতেন। তার এই প্রকৃত সত্যি জেনে হতবাক সকলে। গুনগুনের চরিত্রে তার ড্যাডির প্রতিফলন গভীরভাবে দেখা যায়। এভাবেই অভিষেক চট্টোপাধ্যায় কে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান তৃণা সাহা।