সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে পরমব্রহ্মে শরীর মিশে যাওয়ার পালা। কিন্তু তবু অনুরাগীদের মনে একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ও তাঁর বোন আশা ভোঁসলে (Asha Bhonsle)-র মধ্যে ছিল ঠান্ডা লড়াই! তাঁদের নিয়ে অনেক বিতর্ক। দুই বোনের মধ্যে নাকি বনিবনা ছিল না। কিন্তু লতা মঙ্গেশকর বহুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
View this post on Instagram
লতা জানিয়েছেন, তিনি ও আশা খুবই ঘনিষ্ঠ। দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে আশার সঙ্গে তাঁর প্রতিদিন দেখা হয় না। এছাড়াও আশা তাঁর পুত্র আনন্দ (Anand)-এর সাথে অনেকটাই দূরে থাকেন। তাঁদের বাড়ি লতার বাসস্থান ‘প্রভুকুঞ্জ’ থেকে বেশ কিছুটা দূরে। কিন্তু আগে প্রভুকুঞ্জেই পাশাপাশি দুটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন লতা ও আশা। তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টের মাঝখানে একটি দরজা দিয়ে সংযুক্ত করা ছিল। লতা জানেন, তাঁর অনুরাগীদের হয়তো বিশ্বাস হবে না তাঁর কথা। তবে এটাও সত্যি যে, আশার সঙ্গে তাঁর অতীতে কিছু সমস্যা ছিল। অল্প বয়সে আশার কিছু কাজ মেনে নিতে পারেননি লতা।
প্রকৃতপক্ষে, লতার সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলে (Ganpatrao Bhonsle)-র সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন আশা। গণপতরাও তাঁর তুলনায় বয়সে ছিলেন দ্বিগুণ ও বিবাহিত। তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা তখন বর্তমান। ফলে আশার কোনো আইনি স্বীকৃতি ছিল না। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি লতা। ফলে দুই বোনের মধ্যে দূরত্বের সূত্রপাত হয়। তবে পরবর্তীকালে লতা, আশাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, কোন ভাই-বোনের মধ্যেই না সমস্যা থাকে! যদিও কোনোদিন আশার এই বিয়ে নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা সমীচীন মনে করেননি লতা।
View this post on Instagram
তবে আশা ও লতার মধ্যে কাজ নিয়ে শত্রুতা ছিল না। কারণ লতা মনে করতেন, তাঁর ও আশার গানের ধরন ছিল আলাদা। আশা সাধারণতঃ ক্যাবারে ধরনের গান গাইতেন। অপরদিকে লতা গাইতেন সফট ধরনের গান। আর.ডি.বর্মন (।R.D.Barman)-এর সুরে ‘কাটি পতঙ্গ’ ফিল্মে লতা গেয়েছিলেন ‘না কোই উমঙ্গ’। আশা গেয়েছিলেন ‘মেরা নাম শবনম’। কিন্তু দিদি হিসেবে আশার কাছ থেকে সবসময়ই প্রাপ্য সম্মান পেয়েছিলেন লতা। একসঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে তা উপভোগ করেছেন।
লতা ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন আশা তাঁকে দেখতে গেলেও কোভিড প্রোটোকলের জন্য ও আশার বয়সজনিত কারণে আশাকে হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতে দেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
View this post on Instagram