আচমকা বন্ধ হয়ে গেল জনপ্রিয় দুই ধারাবাহিকের শুটিং
বাংলা ধারাবাহিক মানুষের বিনোদনের অন্যতম রসদ বলা যেতে পারে। মোটামুটি বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত একটা রেস চলে, যেটা বেশি হিট সেটার সামনে দর্শক বেশিক্ষণ বসে থাকে, যেটা ফ্লপ সেটা স্কিপ করে যান। যদিও, মানুষ এখন ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তায় দিন কাটাচ্ছে, তাতে করে ধারাবাহিকের স্টোরি যদি জমজমাট না হয়, সেটার টিআরপি হুহু করে কমে যাচ্ছে। আসলে, যেখানে বিনোদন টপ লেভেলে থাকে মানুষ সেখানেই জ্যাম করে। তাহলে কি বাংলা সিরিয়াল তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে? এদিকে, সূত্রের খবর, বন্ধ হতে চলেছে দু দুটি বাংলা সিরিয়াল।
কোন দুটি বাংলা সিরিয়াল বন্ধ হচ্ছে তাহলে? কেন বন্ধ হচ্ছে? এই দুটো প্রশ্ন নিশ্চয় ঘোরাফেরা করছে। তাহলে জেনে নিন, বন্ধের তালিকায় আছে লীনা গাঙ্গুলীর ধারাবাহিক। এর আগেও লীনা গাঙ্গুলীর একাধিক ধারাবাহিক বন্ধ হয়েছে, এবারেও সমালোচনার মুখে লেখিকা। মার্কেটে তার কলমের সুখ্যাতি থাকলেও একাংশের মতে তার লেখায় পরকীয়া সম্পর্ককে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়, এমনকি তার কলমের ধার ইদানিং কমেছে।
এমত অবস্থায় বন্ধের মুখে ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’ ও ‘এক্কা দোক্কা’। ম্যাজিক মোমেন্টসের ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’ ( Star Jalsha Bangla Serial Guddi) নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র অনুজ এবং ‘গুড্ডি’র চরিত্র নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনার তুঙ্গে ছিল, কেউ কেউ এই ধারাবাহিক বন্ধের নির্দেশও দেয়। কিন্তু, ধারাবাহিক চলতে থাকে ধীরে ধীরে। শুধু গুড্ডি নয়, গুড্ডির পাশাপাশি বন্ধের মুখে ‘এক্কা দোক্কা’। এই ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সোনামণি সাহা এবং সপ্তর্ষি মৌলিককে। ধারাবাহিক শুরুর সময় টিআরপি দারুন থাকলেও মাঝ পথ থেকেই দর্শকরা বিমুখ হন। ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও একটি মেয়েকে কেন দিনের পর দিন শ্বশুর বাড়িতে অপমান সহ্য করতে হবে এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
তাহলে কি কম টিআরপি র কারণে বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক দুটি? এর সঠিক খবর না জানা থাকলেও, সূত্রের খবর, শ্যুটিং বন্ধের পিছনে কোনও বিতর্ক বা কম টিআরপির ঝামেলা নেই। লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী নাকি নিজেই সময় দিতে পারছেন না। এখনও পর্যন্ত নতুন কিছু এপিসোড শ্যুট করে ব্যাঙ্কিং করা আছে, যেগুলি নিয়মিত সম্প্রচারিত হবে। অর্থাৎ, দর্শকরা হতাশ হবেন না ঠিকই, তবে লেখিকা আবার ফিরে এলেই নতুন করে গল্প লিখবেন। ফের শুরু হবে নতুন এপিসোডের শ্যুটিং।