Cyclone Update: সমুদ্রে ফের ফুঁসছে জোড়া ঘূর্ণিঝড়, কয়েকদিনের মধ্যে বদলে যাবে আবহাওয়া!
তীব্র উত্তাপে পুড়ছে বাংলা। গ্রীষ্মের দাবদাহ যেন দিনের পর দিন বাড়ছে বই কমছে না। তাই বঙ্গবাসী এখন বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে চাতকের মতো। ইতিমধ্যে সপ্তাহখানেক আগেই কেটে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আতঙ্ক। বাংলাদেশ ও মায়ানমারে ব্যাপক প্রভাব ফেললেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এই ঘূর্ণিঝড় সরে যাওয়ার পর থেকেই আবার গ্রীষ্মের দাপট শুরু হয়েছে রাজ্যে।
তবে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষদিকেই বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। তার কারণ হল দেশের দু’পাশে সাগরে তৈরি একজোড়া ঘূর্ণাবর্ত, যা আগামীতে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে এগিয়ে আসবে ভূমির দিকে। বঙ্গপোসাগ ও আরব সাগরে তৈরি এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কি পড়বে বাংলায়? এর জেরে কি রাজ্যে বর্ষা আরো দেরিতে? এই প্রতিবেদনে সবটা দেখুন বিস্তারিত।
■ বঙ্গপোসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়: মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইতিমধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। রবিবার ও সোমবার নাগাদ এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এবং ৭ই জুনের মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়াবে। এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেটি কোন অভিমুখে যাবে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। রাজ্যে এর প্রভাব কতটা পড়বে তাও জানা যায়নি।
■ আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়: এদিকে জুন মাসের দক্ষিণ আরব সাগরে একটি ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে ৭ জুনের মধ্যে। কেরল উপকূলের কাছাকাছি দক্ষিণ আরব সাগরে এটি নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। উপকূল বরাবর এটি মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে ৮ই জুন থেকে ১০ জনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূল বরাবর সমুদ্রেই অবস্থান করবে। এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘তেজ’। এটি ভারতের দেওয়া নাম। তবে এটির ল্যান্ডফল কোথায় হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে এখনো বিশদে কিছু জানা যায়নি।
■ বাংলায় বর্ষার আগমন: তবে এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যে বর্ষার আগমনে প্রভাব পড়তে পারে বলেই অনুমান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। কারণ মৌসুমী বায়ুর উত্তর বিন্দু ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগর দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে গিয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। সাগরে আপাতত বর্ষা এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। তবে সাগরে তৈরি হওয়া এই জোড়া নিম্নচাপ রাজ্যে বর্ষার আগমনে বিলম্ব ঘটাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।