২০১৩-তে ‘ধুম ৩’ ছবিতে শেষ বারের মত দেখা যায় ‘মহাব্বতে’ মুভির উদয় চোপড়াকে। তারপর কেমন কর্পূরের মতন উড়ে গেলেন তিনি। খবরে এসেছে ২০১৮ তে নাকি তিনি তাঁর কেনা একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন যার বাজার দর ছিল মাত্র ২৫ কোটি টাকা।
২০১৩ সালে আমেরিকায় শিফট করেন উদয়। ২০১৬ সালে হলিউড হিলসে একটি ভিলা কেনেন। লস অ্যাঞ্জেলস-এ সান্তা মনিকা পর্বতের একটা অংশ হলিউড হিলস নামে পরিচিত। তারপর থেকে এই ভিলাতেই থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু একদমই অজানা কারণে সেই ভিলা বিক্রি করে দেন তিনি।
উদয় কিন্তু যশ চোপড়ার পুত্র, যার হাত ধরে সুপার হিট ফিল্ম বি টাউনে এসেছে। যশ চোপড়ার পরিচালনায় বহু তারকা জন্ম নিয়েছেন, কিন্তু উদয় হাতে গোনা কয়েকটা মুভিতেই অভিনয় করেছেন মাত্র। উদয়ের অভিনয় জীবনের ক্যারিয়ার ‘মহাব্বতে’ ও ‘ধুম ৩’ এই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। অবশ্য তিনি প্রথমবার বলিউডে পা রেখেছিলেন ক্যামেরার পিছনে নেপথ্য কারিগর হয়ে। আজও ক্যামেরার পিছনে থেকেই কাজ করে চলেছেন তিনি।
‘পরম্পরা’, ‘ডর’, ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে তিনি ছিলেন সহকারী পরিচালক। তাঁর পরিবার তাঁকে বলিউডে লঞ্চ করলেও প্রতিবারই তিনি অন্যান তারকাদের আলোয় ঢাকা পরে গেছেন। উদয় ‘ধুম ৩’ ছাড়াও মেরে ইয়ার কি শাদি’, ‘মুঝসে দোস্তি করোগে’, ‘সুপারি’, ‘কল হো না হো’, ‘হম তুম’, ‘ধুম’, ‘ধুম টু’, ‘ধুম থ্রি’, ‘নীল অ্যান্ড নিকি’, ‘দিল বোলে হড়িপ্পা’, ‘প্যায়ার ইম্পসিবল’, ‘লেডিস ভার্সাস রিকি বেহল’-সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এতগুল সিনেমায় অভিনয় করার পরেও জীবনে সাইন করতে পারেননি তিনি। একবার তাঁর টুইটে উঠে এসেছে আত্মহত্যা করার মত কিছু লাইন। একবার উদয় টুইটে লেখেন ‘‘স্বীকারোক্তি: আমি ভাল নেই। আমি চেষ্টা করছি ভাল থাকার। কিন্তু পারছি না।’’ ২০১৯ এর দিকেও উদয় টুইট করে লেখেন ‘‘আমি কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে পড়েছি। আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যা করার ভাল অপশন। আমি হয়তো বরাবরের জন্য সেটা করতেও পারি।’’ উদয়ের এমন মেসেজ আলোড়ন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও উদয় তাঁর ট্যুইটবার্তা মুছে ফেলেন এবং বলেন সবই তিনি মজা করে বলেছেন।
প্রেমের জীবনেও ব্যর্থতা আসে। অভিনেত্রী নার্গিস এর সঙ্গেও বহুদিন সম্পর্কে ছিলেন উদয়। কিন্তু নার্গিসের বিতর্ক মূলক সাক্ষাৎকারের পর উদয় তাঁকে বিয়ে করতে রাজী হয় না এবং এরপরেই নার্গিস দেশ ছাড়েন। নার্গিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ব্যাটম্যান না সুপারম্যান, কার সঙ্গে প্রেম করবেন তিনি জানতে চাইলে বলেন, ‘যার পুরুষাঙ্গ বড় হবে তাকে পেলে বেশি ভাল হয়।’ ব্যাস এরপরেই নার্গিস দেশ ছাড়ে। উদয় এখনও ব্যাচেলর। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। এখনও ব্যাকফুটেই রয়ে গেছেন তিনি।