whatsapp channel

টাকার লোভে স্ত্রীকে বিক্রি করলেন স্বামী, এই সিরিজের সাহসী দৃশ্য বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না

নিষিদ্ধ বিনোদনের যোগান দেয় উল্লু। কিন্তু যদি নিষিদ্ধতা কখনও গর্জে ওঠে? প্রশ্নের উত্তর উল্লুর একটি বিশেষ ওয়েব সিরিজ ‘পারো’। প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েব সিরিজ তকমা না দিয়ে ‘পারো'-কে দেওয়া উচিত মর্যাদা। প্রকৃতপক্ষে,…

Avatar

Nilanjana Pande

নিষিদ্ধ বিনোদনের যোগান দেয় উল্লু। কিন্তু যদি নিষিদ্ধতা কখনও গর্জে ওঠে? প্রশ্নের উত্তর উল্লুর একটি বিশেষ ওয়েব সিরিজ ‘পারো’। প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েব সিরিজ তকমা না দিয়ে ‘পারো’-কে দেওয়া উচিত মর্যাদা। প্রকৃতপক্ষে, ওয়েব সিরিজের নাম ‘পারো’ যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। সঞ্জয় শাস্ত্রী (Sanjay Shastri) পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘পারো’-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন লীনা জুমানি (Leena Jumani), কুন্দন কুমার (Kundan Kumar)। ‘পারো’ এক অনাথ মেয়ের কাহিনী। প্রত্যন্ত গ্রামে কাকা-কাকীমার সংসারে আশ্রিতা পারো। নেশাখোর কাকা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পারোর সাথে এক যুবকের বিয়ে দেয়। অথচ সেই যুবককে গ্রামের কেউই চেনে না। এক ব্যক্তি এই বিয়ের ঘটকালি করে ও বিয়ে যথেষ্ট দ্রুত হয়ে যায়।

পারো শ্বশুরবাড়িতে আসে। কিন্তু তাকে আবারও পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে এক নেতার রক্ষিতা হতে হয়। পারোর স্বামী নিজেই তাকে বেচে দেয় ওই নেতার কাছে। পরিবর্তে সে পায় রাজনৈতিক সুবিধা। অনাথ পারোর খবর কেউ রাখে না। একের পর এক পুরুষের স্ত্রী সেজে তাদের শয্যাসঙ্গিনী হতে থাকে পারো। পারোর পরিণতি জানতে উল্লু অ্যাপ হয়তো অনেকেই সাবস্ক্রাইব করবেন। কিন্তু কে এই পারো? অথবা কারা? ভারতের বুকে কয়েকটি অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেক দিন ঘটে চলেছে কনে পাচার বা ব্রাইড ট্র্যাফিকিং-এর ঘটনা।

রাজস্থানের কয়েকটি এলাকায় বাড়ির কাজ ও দূরের কুয়ো থেকে জল নিয়ে আসার জন্য মন্ত্র পড়ে লোকদেখানো সামাজিক বিয়ের মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তের-চৌদ্দ বছর বয়সী কিশোরীদের। সারাদিন বাড়ির কাজ করার পর প্রতি রাতে পুরুষের চাহিদা মেটাতে হয় তাদের। এই কিশোরীদের ‘পারো’ বলা হয়। অধিকাংশ কিশোরী আসে বাংলা,ওড়িশার মতো রাজ্য থেকে। অনেককে তাদের নিজের পরিবার সামান্য অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

বাড়ির পুরুষদের মন ভরে গেলে পারোরা আবারও পাচার হয়ে যায় অন্য পরিবারে। এই ভাবেই একসময় তাদের অন্ত ঘটে। বহু পারো মেয়ে ধুতরোর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। অনেককে খুন করে দেওয়া হয়। এমনকি পারো মেয়েদের মৃত্যুর পর তাদের সৎকারটুকুও সঠিক রূপে হয় না। যে সমাজ তাদের পারো বানায়, তারাই পারোদের ব্রাত্য করে রাখে। কিন্তু প্রতি রাতে ব্রাত্য হয় না তাদের যৌনতা। বহু পারো মেয়ে যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যায়। একবিংশ শতকেও বেশ কিছু অঞ্চলে কনে পাচার বা পারোর ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। মিলে মিশে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ। ফলে পারোরা পায় না সুবিচার। সঠিক চিত্রনাট্য বা সাহসের অভাবে পরিচালক সম্পূর্ণ কাহিনী সঠিক ভাবে বুনতে না পারলেও ‘পারো’ নামটি যথেষ্ট বার্তাবাহী রূপেই ব্যবহার করেছেন। 2021 সালের 15 ই মে উল্লুর ইউটিউব চ্যানেলে লঞ্চ হয়েছিল ‘পারো’-র অফিশিয়াল ট্রেলার। 18 ই মে ওয়েব সিরিজটি স্ট্রিম হয় উল্লুতে। এখনও অবধি ‘পারো’-র ট্রেলারের ভিউ অতিক্রম করেছে ষোল লক্ষ।

whatsapp logo