Unknown Fact: আগাছা ভেবে উপড়ে ফেলে দিচ্ছেন এই গাছকে! এই ৩ রোগ সরিয়ে তুলতে পারে এই আগাছা
কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্ৰথম প্রাণের সঞ্চার ঘটে। প্রথমে এককোষী, তারপর বহুকোষী জীবের উৎপত্তি ঘটে আমাদের এই ভূজগতে। নানা বিবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে জীবকূল। সেই কারণেই আমাদের এই পৃথিবী হল বৈচিত্র্যময়। পৃথিবীতে জেম কোটি কোটি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, তেমনই রয়েছে নানারকম উদ্ভিদ। আর সব জীবের মধ্যে রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন। যার মধ্যে অনেক উদ্ভিদের অনেক গুণাবলী আজো আমাদের কাছে অজানা ও অনাবিষ্কৃত।
আমাদের বাড়ির আশেপাশে এমনই কিছু উদ্ভিদ রয়েছে, যাদের গুণাবলী না জানার কারণে তাদেরকে আমরা আগাছা বলে কেটে বা উপড়ে ফেলে দিই। আর এমনই একটি গাছ হল ম্যাকয়। এই গাছটি সাধারণত ছায়া জায়গায় বেড়ে ওঠে। বেশিরভাগ স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এই গাছকে পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। মূলত রাস্তার ধারে এই ধরিনের উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে ব্যাপকভাবে। কিন্তু এই গাছ যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা।
ম্যাকয় গাছ খুব একটা বড় হয়না। মূলত, যেখানে এই গাছ হয়, সেখানে গাছটি ব্যাপকভাবে বংশবৃদ্ধি করে। তাই কমদিনে এই গাছ ঝোপের আকৃতি নেয়। এই গাছের পাতা গাঢ় সবুজ রংয়ের হয়। এছাড়াও এর ফুল হল হলুদ, লাল ও সাদা রংয়ের। এই গাচ্ছেদ ফল ছোট্ট টমেটোর মতো দেখতে হয়। শুরুতে সবুজ থাকে এই ফল। তবে পাকা অবস্থায় প্রথমে হলুদ, তারপর লাল, তারপর বেগুনি এবং সবশেষে কালো রংয়ের হয় এই ফল। তবে এই গাছের রয়েছে অব্যর্থ কিছু গুনাগুন।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই গাছের গুণাবলী উল্লিখিত রয়েছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গাছ আমাদের ত্রিদোষ দূর হলে। অর্থাৎ, কফ, বাত ও পিত্তের পরিমান কমাতে সাহায্য করে। সেই কারণেই এই উদ্ভিদ থেকে অনেক ওষুধ তৈরি হয়। এছাড়াও এই উদ্ভিদে থাকা একটি বিশেষ বস্তু পৌরুষত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই গাছের এক আশ্চর্যকর গুন হল এই গাছ মানুষের যৌবন ধরে রাখে। তাই আগাছা ভেবে এই গাছকে উপড়ে ফেলবেন না।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনের যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।