রিজেক্ট হয়েও নিজের চেষ্টায় টলিউডের ‘বস’ হয়ে ওঠা জিতের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে

ইদানিং ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে বা বাংলার বাইরে থাকলেই বাঙালিকে বলতে শোনা যায়, “আমি বেঙ্গলি বলতে জানি না”। একবার তো একটি ত্রিশ বর্ষীয়া বাঙালি মেয়ের মুখে প্রতিবেদক শুনেছিলেন “দুধ ঘন কি মা?” এই ধরনের বাঙালির কাছে তিনি একজন উদাহরণ। সিন্ধ্রি হয়েও অবলীলায় ঝরঝরে বাংলা ভাষায় কথা বলেন। অফুরন্ত স্টারডম পেরিয়েও তিনি দিনের শেষে এক সত্যিকারের মানুষ, জিতেন্দ্র মাডনানি (Jeetendra Madnani), টলিউডের একমেবাদ্বিতীয়ম নায়ক ও প্রযোজক জিৎ (Jeet)। চলতি বছরে পা দিলেন তেতাল্লিশ বছর বয়সে। আজ, 30 শে নভেম্বর তাঁর জন্মদিন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Jeet (@jeet30)

ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটিতে পড়তে পড়তেই মডেলিং-এর মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জিৎ। কিন্তু মুম্বই ছিল পাখির চোখ। টলিউড নয়, জিৎ প্রথম ভাগ্যান্বেষণে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। স্টুডিওয় ঘুরেছেন, বারবার অডিশন দিয়েছেন। কিন্তু রিজেকশনের সম্মুখীন হয়েছেন। তবু মুম্বইয়ের প্রতি ভালো লাগা নিয়েই ফিরেছেন বাংলায়। টলিউডে তখন চলছে প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee)-এর রাজত্ব। সেই সময় অবাঙালি ছেলে জিৎ-এর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ তুলনামূলক কঠিন ছিল। কারণ অনেকেই মনে করতেন, সিন্ধ্রি ছেলে কি করে বাংলা ভাষায় ডায়লগ বলবে!

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Jeet (@jeet30)

কিন্তু ঝুঁকি নিলেন হরনাথ চক্রবর্তী (Haranath Chakraborty)। জিৎকে নায়ক হিসাবে নিয়ে বানালেন ‘সাথী’। এতগুলো বছর পেরিয়েও আজও সাথীর গান ‘ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও’ সুপারহিট। জিৎ-এর বিপরীতে এই ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী (Priyanka Tribedi)। জিৎ-প্রিয়াঙ্কা জুটি সাড়া ফেললেন টলিউডে। অবাক বাঙালী দেখলেন একটি সিন্ধ্রি ছেলের পরিষ্কার বাংলা বলা। জিৎ-এর হাত ধরে টলিউডে শুরু হল স্বর্ণযুগ। একের পর এক হিট। সাফল্যের সিঁড়ি পেরিয়ে উচ্চতায় উঠেও ভুলে যাননি লড়াইয়ের দিনের সময় পাশে থাকা মানুষগুলিকে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Jeet (@jeet30)

একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে রিজেকশনের সম্মুখীন হওয়া জিৎ আজ টলিউডের ‘বিগ বস’-দের অন্যতম। রয়েছে তাঁর নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস ‘গ্রাসরুটস’। মুম্বই ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আজ অবলীলায় মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষমতা রাখেন জিৎ। তবু বাংলাই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। কিন্তু কখনও কখনও মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তাঁকেও। কাউকে বলেন না। লিখে রাখেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত ডায়রিতে। পৃথিবী চিনুক সুপারস্টার জিৎ-কে। দুঃখগুলি শুধুই বন্দি হয়ে থাক ডায়েরির মুড়ে যাওয়া, বিবর্ণ পাতায়। সুপারস্টার জিৎ-এর জন্মদিনে ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে রইল একরাশ শুভেচ্ছা। তারকা, আপনি খুব ভালো থাকুন, আপনার আলোয় আলোকিত হোক সমগ্র সিনেপৃথিবী।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Jeet (@jeet30)