একবিংশ শতকের প্রথমার্ধ অবধি বলিউডের তথাকথিত নায়িকাদের তুলনায় একদম আলাদা একটি টোল পড়া হাসিমাখা মুখ মাতিয়ে রেখেছিলেন আপামর ভারতবাসীকে। দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেকগুলি বসন্ত। চলতি বছরের 31 শে জানুয়ারি সাতচল্লিশ বছর বয়সে পা দিলেন প্রীতি জিন্টা (Preity Zinta)। বারবার বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে তাঁর। ফিরে এসেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে। কিন্তু একবারের জন্য চিড় খায়নি তাঁর সাহস।
View this post on Instagram
2004 সালে প্রীতি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই স্থানে একটি বিরাট বিস্ফোরণ হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন প্রীতি। এর পরের ঘটনা ঘটে থাইল্যান্ডে। সেবার প্রীতি থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তিনি যে রিসর্টে ছিলেন, সেখানে সুনামির ফলে ঢুকে পড়ে সমুদ্রের জল। অত্যন্ত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন প্রীতি। হয়তো নিজের ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর তাঁকে রক্ষা করেছিলেন। কারণ নিজের চৌত্রিশ বছরের জন্মদিনে প্রীতি হৃষিকেশের একটি অনাথাশ্রমের চৌত্রিশ জন কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন। তাদের সমস্ত দেখভাল এখনও করে চলেছেন প্রীতি।
View this post on Instagram
অভিনয়ের বাইরেও দেশে-বিদেশে প্রীতি পেয়েছেন বহু সম্মান। 2010 সালের অক্টোবর মাসে ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট ইংল্যান্ড থেকে কলা বিভাগে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু সাহসী মহিলা হিসাবে তাঁকে সম্মানিত করা হয় ‘গডফ্রে ফিলিপস ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’-এর মাধ্যমে। কারণ প্রীতি বলিউডকে দুঃসাহসী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ফিল্মের মাধ্যমে।
এই ফিল্মে সলমান খান (Salman Khan) ও রানী মুখার্জী (Rani Mukherjee)-র পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন প্রীতি। ফিল্মের প্রযোজক ছিলেন হীরে ব্যবসায়ী ভরত শাহ (Bharat Shah)। একসময় জানা যায়, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ভরতের সম্পর্ক থাকার কারণে এই ফিল্মে তিনি প্রচুর কালো টাকা ঢেলেছিলেন। ফিল্মের সমস্ত কলাকূশলীরা এই কথা জানলেও তাঁরা ভরতের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। ভরত তাঁদের খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রীতি এই হুমকিতে ভয় না পেয়ে মুম্বই পুলিশকে ভরতের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে সহযোগিতা করেছিলেন। এই কারণে পরবর্তীকালে তাঁকে বলিউডের অন্যতম সাহসী মহিলা হিসাবে ‘গডফ্রে ফিলিপস ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’-এ সম্মানিত করা হয়েছিল।
View this post on Instagram