Hoop Life

Lifestyle: সারা শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজে

মুখে এবং সারা শরীরে লোমের আধিক্য আপনাকে একেবারে বিরক্ত করে? যদি এই বিরক্তিভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই সারা শরীরের আনওয়ান্টেড হেয়ার অথবা অবাঞ্ছিত লোমকে দূর করে ফেলুন। অনেক সময় দেখা যায়, ঠোঁটের ওপরে সারা গালে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে সাংঘাতিক পরিমাণে লোমের পরিমান বেড়ে গেছে যা কিন্তু অনেক সাজার ফলেও আপনি কিছুতেই সেই লোমকে কন্ট্রোলে আনতে পারবেন না।

এই লোমকে যদি একেবারে দূর করতে চান, তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ হেয়ার রিমুভার একটি ক্রিম। এই হেয়ার রিমুভার ক্রিমটি কিন্তু বহু প্রাচীনকাল থেকে যে সময় বাজারে কোনরকম হেয়ার রিমুভাল ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়নি, ঠিক সেই সময় থেকে কিন্তু এগুলো তৈরি হয়েছে। তাই আপনি বা কেন পিছিয়ে থাকবেন বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ হোমমেড হেয়ার রিমুভাল ক্রিম। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন সহজ টিপস –

এটি করার জন্য আপনাকে প্রথমেই নিতে হবে দু’কাপ জল। ভালো করে গরম করে নিন তার মধ্যে দিয়ে দিন তিন থেকে পাঁচ টেবিল চামচ চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে দিন প্রায় এক কাপ দুধ। প্রতিটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো, নিতে হবে ডিমের সাদা অংশ। প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে মিশ্রণটির মুখে, গলায় বা যেখানে যেখানে লোমের আধিক্য বেশি সেখানে লাগিয়ে আধ ঘন্টার মতন রেখে দিন। বেশ ভালো মতন শুকিয়ে গেলে তারপর সামান্য জল দিয়ে উল্টো দিকে টেনে টেনে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।

এটি সপ্তাহে অন্তত দুদিন পরপর করে দেখুন। দেখবেন আপনার ত্বক কত পরিষ্কার, উজ্জ্বল হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আনওয়ান্টেড হেয়ার গ্রোথ একেবারে কমে যাবে। আগেকার দিনে যখন এই ধরনের ক্রিম আবিষ্কার হয়নি তখন কিন্তু এইভাবেই রূপচর্চা করা হতো। তবে আর কি দেরি না করে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ এই ক্রিম। এই ক্রিমের কোনরকম সাইডএফেক্ট নেই, বরঞ্চ আপনার ত্বকে ভালো করবে এবং লোমের আধিক্যকে অনেকখানি কমিয়ে দেবে। তবে এই ধরনের লোমের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার কারণ কিন্তু হরমোনাল সমস্যা। তাই যাদের অতিরিক্ত লোমের আধিক্য বেশি রয়েছে তারা প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles