পোশাক বিতর্কে প্রায়ই শিরোনামে থাকে উরফি জাভেদের (Urfi Javed) নাম। ছকভাঙা পোশাকে নিজের আব্রু ঢেকে প্রায়ই নানা জায়গায় আবির্ভাব ঘটে তার। তবে তার পোশাকের ছক যে একটু বেশিই ভাঙা, তার প্রমান মিলেছে বারবার। কখনো নিজেকে ঢেকেছেন খবরের কাগজে, কখনো সেফটিপিন দিয়ে, কখনো আবার খাবারের প্লেট ও জুসের গ্লাসে ঢেকেছেন নিজের গোপন স্থানগুলি। আর এই নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই নানা মহলে। কিন্তু এবার যা করলেন এই মডেল, তাতে হতবাক সকলেই।
উরফি জাভেদকে অনুসরণ করেন অনেকেই। সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে বাস্তব জীবনেও তার ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই তার আসা যাওয়া, থাকা, খাওয়া সবটুকু রেকর্ড হয় প্যাপদের ক্যামেরায়। সম্প্রতি তাদের ক্যামেরাতেই এক অন্য রূপে ধরা দিলেন এই মডেল। এবার কোনো উদ্ভট পোশাক ছিল না তার গায়ে। ছিল মিষ্টি গোলাপি রংয়ের ফ্লোরাল প্রিন্টেড শালোয়ার ও ম্যাচিং প্লাজো। গায়ে ছিল ওড়নাও। তবে শালোয়ারটিও ছিল ডিপ নেক এবং ব্যাকলেস। যার ফলে এই পোশাকেও সুস্পষ্ট হয়েছে তার বক্ষবিভাজিকা। শরীরের পিছনের অংশও খোলামেলা। পরিপাটি করে বাঁধা চুল, গায়ে মানানসই জুয়েলারি, পায়ে হিল জুতো। মুখে নিউড মেকআপ, ঠোঁটে গ্লসি নিউড লিপস্টিক। ভিডিওতে তাকে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ‘জেদা নেশা’ গানে পোজ দিতে দেখা গেছে। তারপর নিজের গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে। ভিডিওর ক্যাপশনে মডেলের নাম লেখা হয়েছে।
আর এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সেও ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন উরফি। যদিও অনেকেই আগুন ও ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন কমেন্ট বক্স। তবে অনেকেই আবার তির্যক মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘সামনের দিক দেখে ভালো লাগলেও পিছনের দিকে তাকিয়ে মুড খারাপ হয়ে গেল’; একজন আবার লিখেছেন, ‘যাই পরুক না কেন, এর গায়ে কাপড় কম পড়েই যায়’; আবার একজন লিখেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে ডাক্তারের কাছে এলার্জির চিকিৎসা চলছে’।
প্রসঙ্গত, ছকভাঙা পোশাক পরে একদিকে যেমন সমালোচিত হয়েছেন এই মডেল, তেমনই তার ফ্যাশন স্টাইলিং তাকে দিয়েছে দেশজোড়া জনপ্রিয়তা। এর আগেও ট্র্যাডিশনাল পোশাকে তাকে দেখা গেছে একাধিকবার। গতবছরের শেষের দিকে দুবাইয়ের সমুদ্র সৈকতেও শালোয়ার কামিজে দেখা গেছিল তাকে।
View this post on Instagram